eaibanglai
Homeএই বাংলায়'চুয়া'র জল খেয়ে জীবন যাপন

‘চুয়া’র জল খেয়ে জীবন যাপন

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বাংলা ক্য়ালেন্ডার অনুযায়ী গ্রীষ্ম আসতে এখনও প্রায় মাসখানেক দেরি। যদিও এই ভরা বসন্তেই জলের হাহাকার পড়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায়। দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলও তারমধ্যে অন্যতম। তবে এখানে জলের সমস্যা শুধু গমরেই নয়। বছরভর এলাকার মানুষজন খালের পাশে ‘চুয়া’ তৈরি করে সেখান থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে দিনযাপন করেন বহু বছর ধরে। চুয়া হল জলাশয়ের ঠিক পাশেই মাটি খুঁড়ে তৈরি করা ছোট্ট গর্ত। যেখানে ফোঁটা ফোটা করে দলাশয়ের জল জমে। ওই জলই সংগ্রহ করে পান করেন গ্রামবাসীরা। এমনই ছবি উঠে এসেছে রানীবাঁধের আমডাঙ্গা গ্রামে। এখানকার অন্তত ২০ টি পরিবার এভাবেই জল সংগ্রহ করে থাকেন।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। গ্রামে টিউবওয়েল থাকলেও সেই জল ব্যবহার করা যায়না। অগত্যা ভরসা গ্রাম থেকে খানিক দূরের খালের পাশের ‘চুয়া’র জল। যদিও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানিয় জলের জন্য রাস্তায় পাইপ বসেছে। কিন্তু কবে জল পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশাসন কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

বিষয়টি নিয়ে রানীবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চিত্ত মাহাতো দাবি করেছেন, রানীবাঁধ ব্লকের সর্বত্র পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে নককূপ ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে। কোথাও জলের সমস্যা নেই। তবে বাড়ি বাড়ি জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে। যেখানে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, ওই চুয়ার জল শুধুমাত্র ডাল সেদ্ধ করার জন্য এলাকার মানুষ মানুষ সংগ্রহ করেন। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছেন।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্থানীয় সিপিআইএম নেতা তথা ডুবুখানা গ্রাম সংসদের সদস্য নকুল চন্দ্র সর্দারের দাবি বিষয়টি নিয়ে তিনি পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র দরবার করেছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সম্পাদক দেবাশীষ লায়েকের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে জঙ্গল মহল হাসছে না। এমনকি এখানকার মানুষ তৃণমূল সরকারকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্যও তৈরি বলেও দাবি তাঁর।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments