সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- রানীগঞ্জের বিজেপি নেতার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সকাল থেকে বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউয়ের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য সভাপতি ও রানীগঞ্জ শহর মন্ডলের সভাপতি দেবজিৎ খায়ের নেতৃত্বে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যার জেরে প্রায় ১৫ মিনিট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে এদিন জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষা থাকায় সাধারাণ যাত্রীদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ আসানসলো দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ অধিকারিকরা। তারা বিক্ষোভদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত গতকাল দুপুরে জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চাঁদা মোড়ের কাছে একটি দাঁড়িয়ে থাকা স্করপিও গাড়ি থেকে এক ব্যক্তির গুলি লাগা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায় গাড়ির সামনে চালকের পাশের আসনে বসানো অবস্থায় ছিল দেহটি। প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ওই ব্যক্তিকে নড়াচড়া করতে না দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর তারা দেখেন ব্যক্তির দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে এবং জামা রক্তে ভেজা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা না গেলেও পরে জানা যায় মৃতের নাম রাজেন্দ্র কুমার সাউ (৪০)। তিনি রানীগঞ্জের বাসিন্দা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে রাজেন্দ্র কুমার আসানসোল পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে । ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলও উদ্ধার করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই ওই এলাকায় এক ট্রাকচালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার পরপরই একইভাবে বিজেপি নেতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধাররের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।