সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ঘটে গেলে মর্মান্তিক ঘটনা। বচসা ও কটুক্তির জেরে মৃত্যুি হল এক যুবকের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রানীগঞ্জের বক্তারনগর এলাকায়। মৃত যুবকের নাম অমিত বাউরি (২৭)। ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রানীগঞ্জের বক্তারনগর মহন্ত কুলিতে সোনটন বাউরির বাড়িতে তাঁর পিতার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা অমিত বাউরি। অভিযোগ, অনুষ্ঠান চলাকালীন অমিত তার প্রতিবেশী কমল বাউরিকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের জেরে কমলের সঙ্গে অমিতের তর্কাতর্কিও হয়। পরে কমল তার দুই খুড়তুতো ভাই পরিমল ও বিমল বাউরিকে ঘটনার কথা জানায়। এরপর স্থানীয় হনুমান মন্দিরের কাছে ঘুমিয়ে থাকা অমিতের উপর অতর্কিতে হামলা করে এই তিনজন। লোহার পাঞ্জা দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী, অমিতের স্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় অমিতকে প্রথমে রানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানা থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে রানীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে অমিতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অমিতের আত্মীয়-পরিজনরা হামলাকারীদের পরিবারের উপর চড়াও হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকেও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। দুজন পুলিশ কর্মীও আহত হন। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশের বিশেষ দল, কমব্যাট ফোর্স এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। তবুও শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বক্তারনগরে উত্তেজনা অব্যাহত থাকে।
স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত বিমল বাউরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।





