সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- আমাদের সনাতন ধর্ম মতে বলা হয় যে, মৃত বাড়িতে গেলে বা মৃতদেহ সৎকার কার্য করতে শ্মশানে গেলে স্নান করতে হয়, বাইরে না হলেও বাড়িতে এসে স্নান করা উচিত। এখন আধুনিক যুগে অনেকেই এই বিষয়টি মানছেন না তারা মৃত কার্যে অংশগ্রহণ করার পরে স্নান করেন না কারণ তারা এই পুরো বিষয়টিকে কুসংস্কার বলে এড়িয়ে যান। তারা মনে করেন এটি শুধুই একমাত্র ধর্মীয় প্রথা। কিন্তু জানেন কি আমাদের সনাতন ধর্ম বিজ্ঞানের আধারে প্রতিষ্ঠিত। আগেকার দিনে মানুষ বিজ্ঞান সেভাবে বুঝবে না বলেই ধর্মীয় আচার বলে এই সমস্ত রীতিনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জানলে অবাক হয়ে যাবেন শবদাহের কাজে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের স্নান করা বা শ্মশানে যাওয়ার পর স্নান করার পিছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ। এই কারণটি জানলে হয়তো আপনিও নিজের সনাতন ধর্মকে নিয়ে গর্ববোধ করবেন।
প্রথমত সনাতন ধর্ম সবকটি প্রথা বিজ্ঞান স্বীকৃত। শবদাহের পর যারা উক্ত কাজে অংশগ্ৰহন করেন সবাইকে স্নান করে শুদ্ধ হোওয়ার কথা বলা হয়। বিজ্ঞানে বলা হয় যে,মৃত ব্যক্তির শবদাহ করলে উক্ত ব্যাক্তির শরীরে কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়, যা আগুনের সংস্পর্শে আসলে নষ্ট না হয়ে, চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, যার কারনে স্নান করলে উক্ত ব্যাকটেরিয়া জলের সংস্পর্শে আসলে মরে যায়। কিন্তু আগেকার দিনের মানুষ তো খুব বেশি পুঁথিগত বিদ্যার শিক্ষিত ছিলেন না অধিকাংশ মানুষই ছিলেন লোকশিক্ষায় শিক্ষিত তাই সেই সমস্ত মানুষকে বিজ্ঞানের এই সমস্ত জটিল তত্ত্ব বোঝাতে গেলে তারা বিষয়টি মানতেন না তাই এটিকে ধর্ম হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যাতে সবাই তা পালন করে।
অথচ বর্তমানে অনেক আধুনিক মনস্ক মানুষ এই নিয়মগুলিকে কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দেন তারা জানেনই না এই সংস্কারগুলির পিছনে কত বড় বৈজ্ঞানিক যুক্তি রয়েছে। হরে কৃষ্ণ, রাধে রাধে।