eaibanglai
Homeএই বাংলায়হাতে চাঁদ পেল ছিন্নমূল দোকানদারেরা, শুরু হল এডিডিএ'র পুনর্বাসন

হাতে চাঁদ পেল ছিন্নমূল দোকানদারেরা, শুরু হল এডিডিএ’র পুনর্বাসন

মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ- চাঁদের মাটিতে ছুঁল ভারতের ‘বিক্রম’। আর তখনি হাতে চাঁদ পেলেন ‘জবরদখলকারী’ দোকানদারেরা। তাদের রুটি রুজি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ছিন্নমূল হকারদের এবার চিরস্থায়ী পাকাপোক্ত দোকানঘর করে দিল রাজ্য সরকারের এডিডিএ। বুধবার সাড়ে ৬ টায়।

“বিক্রম আমাদের সবার গর্ভ । পাশাপাশি, আজ এডিডিএ আমাদের জন্য যা করলো, কি আর বলবো, হাতে চাঁদ পেলাম। আজ থেকে আমরা আর অবৈধ দখলদার নই। আমাদের বৈধ ঠিকানা এই দোকান ঘর,” বলে আনন্দশ্রু সামলে বললেন মালতি রায়। শহরের বিশ্বকর্মা নগরের একটি মহল্লার পরিচিতি ছিল যে ‘রায় ঘূমটি’ জন্য, সেই দোকান ঘরের এখন থেকে বৈধ মালকিন। তার প্রতিবেশী দোকানদার অসিত মন্ডল, সুধাময় ব্যানার্জি, চঞ্চল পরামানিকরাও উল্লাসে এদিন ছিলেন আত্মহারা । অসিত বললেন, “গরীব মানুষের হঠাৎ রুজি বন্ধ হয়ে গেলে কি যে হয় এই এক বছর নয় মাসে তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছি। আর আজ যখন দোকানের কাগজ হাতে পেলাম, বুঝলাম সরকার আমাদের জন্য সত্যিই কতোটা ভাবে। আমি তো বলবো যারা জবরদখল করে রয়েছেন, নিজেরাই সরকারকে দখল মুক্ত করতে সাহায্য করুন। আজ সাহায্য করলে, কাল আমাদের মতন সুফল পাবেন হাতে নাতে।” প্রায় একই কথা চঞ্চল ও সুধাময়ের।

বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্বকর্মা নগরের বি-২ বাজারে ছিন্নমূল দোকানদারদের হাতে নতুন দোকানের কাগজ তুলে দিতে এসেছিলেন খোদ এডিডিএ (আসানসোল দুর্গাপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি)র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাপস বললেন, “কাউকে কোনোরকম ধরা ধরিই প্রয়োজন নেই। যাদের যাদের অবৈধ দোকান আমরা ভেঙেছিলাম, তাদের জন্যই এইসব নতুন দোকান।” তিনি বলেন, “এখানে ২৪ টি দোকান ঘর হল। তেমনি বিধাননগরের ই এস আই হাসপাতালের পাশে হবে ৩৮ টি পুনর্বাসনের দোকান। সিটি সেন্টারের সাউথ জি টি রোড এলাকার ধারে ৫০ টি দোকান হবে পুনর্বাসনের জন্য। তিনি আরো বলেন, “আইনগত পদ্ধতি মেনে আমরা একে একে স্বীকৃত দোকানদারদের পুনর্বাসন দেব। আমাদের সরকার মানুষের পেটে লাথি মারার জন্য নয়, মানুষকে বৈধ উপায়ে রোজগারের নতুন দিশা দেওয়ার পক্ষে। কারোর মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে নয়, সমাজের বুকে তাদেরকে বৈধ স্বীকৃতি দিতেই কাজ করছে এডিডিএ। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বিশেষকে পছন্দ করার কোন ব্যাপার নেই। আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করায় আমাদের কাজ।”

বুধবারের অনুষ্ঠানে বিশ্বকর্মা নগরে তাপসের সাথে এসেছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মানুষের জন্য এভাবে সদর্থক কাজ করাটাই তো আমাদের সরকারের আসল লক্ষ্য। আজ তার আরো একটা ধাপ শুরু হল।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments