সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:-
লরির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়ালো। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায় থানার সেকেন্দারচক বাসস্ট্যান্ডের কাছে। মৃতের নাম কাজী নিয়ামুল। বয়স ৬০ বছর। বাড়ি পাত্রসায়রের সেকান্দার চক এলাকায় ।
স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায়, কাজী নিয়ামুল বাবু প্রতিদিনের মত আজও হাটকৃষ্ণনগর বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাস্তার অপর দিকে থাকা তার বোনের সাথে সাইকেল রেখে দেখা করতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ চাকার একটি সিমেন্টের লরি বাঁকুড়া থেকে পাত্রসায়ের হয়ে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল তখন সেকেন্দারচক বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘাতক লরি চালক এবং খালাসীকে দুজনে পলাতক|
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজিত জনতা ঘাতক লরিটির উপর অল্পবিস্তর ভাঙচুর চালায় এবং ঘন্টাখানেক পথ অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে তৈরি হয় যানজট পরিস্থিতি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
কাজী নিয়ামুল হকের মামা শ্বশুর বলেন ওই এলাকায় এইরকম দুর্ঘটনা প্রাই হয় এর আগেও হয়েছে প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আজ আমারা আমাদের প্রিয়জন কে হারিয়েছি যাতে আর কোনো কারও প্রিয়জনকে হারাতে না হয় তার ব্যবস্থা যেন প্রশাসন করে। আর একটি ঘটনায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়ে রাস্তায় পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম অনিল কুমার ঘোষ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া ডাবরা ও দেরুয়া ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় এক দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জানা যায় মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি বাঁকুড়া ডাবরা এলাকায়। খবর দেয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে। পথ অবরোধের জেরে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় যানবাহনের। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।