সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– দুর্গাপুরে দিল্লির ব্যবসায়ীর কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাঁচির সুখদেবনগর থেকে এক যুবককে ও রূপনায়াণপুরের মহাবীর কলোনির এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাঁচি থেকে ধৃত অঙ্কিত সিং একটি ইটভাটা চালায় বলে জানা গেছে। যে গাড়ি থেকে টাকা ছিনতাই হয় সেই গাড়িটি অঙ্কিতের ইটভাটা থেকে উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে দুর্গাপুরে আনা হয় ও শুক্রবার তাকে আদালতে পোশ করা হয়। অন্যদিকে রূপনায়াণপুর থেকে ধৃত যুবকের নাম গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তাকে গত ১১ই সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে ১২ই সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নেয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ধৃত গৌতমের সাথে অজয় দাসের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । এই অজয় দাস রূপনারায়ণপুরের জমি ব্যবসায়ী ও এই ছিনতাই কাণ্ডের অন্যতম চক্রী সালানপুরের ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ জয়সওয়ালের সহযোগী। অজয় ও পৃথ্বীরাজকে গ্রেফতার করতে না পারলেও তাদের বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ এবং গ্রেফতার হয়েছেন পৃথ্বীরাজের স্ত্রী।
জানা গেছে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা এই ছিনতাই কাণ্ডের মূল মাথা মধুসূদন বাগের যে একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন সেটি ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কল্যাণী শাখায় মধুসূদনের কল্যাণী ভান্ডার নামের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মধুসূদনের বিভিন্ন কোম্পানির নামে নানান জায়গায় সাতটি ব্যাংক একাউন্টের হদিশ পেয়েছে। এই মামলায় অভিযোগ দায়ের পর পরই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে গাড়িতে মুকেশে সঙ্গী মনোজ সিংহ, গাড়ির চালক সুরজকুমার রাম, দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটের বাসিন্দা সুভাষ শর্মা, দুর্গাপুর থানায় কর্মরত এএসআই অসীম চক্রবর্তী, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের এএসআই চন্দন চৌধুরী এবং পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া মৃত্যুঞ্জয় সরকারকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় তমলুকের মধুসূদন বাগ,রূপনায়াণপুরের গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও রাঁচির অঙ্কিত সিংকে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।