নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সবে ১৪ বছর বয়স, ইচ্ছে ছিল বিয়ে নয়, আরও পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু নাবালিকার সেই আর্জিতেও মন গললো না বাবার। জোর করেই মেয়ের পড়াশোনায় ইতি ঘটিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসালেন বাবা। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ রামচন্দ্রখালী গ্রামের। জানা গেছে, বাসন্তী থানা এলাকার রামচন্দ্রখালী গ্রামের বাসিন্দা কুতুবউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির নাবালিকা কন্যা বর্তমানে নবম শ্রেণির পড়ুয়া। কিন্তু মেয়ের পড়াশোনার দিকে সেরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি চান মেয়ের বিয়ে দিয়ে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার তকমা থেকে মুক্তি পেতে। আর সেই কারণেই মাত্র ১৪ বছর বয়সী নাবালিকার বিয়ে দিতেও বিবেকে বাঁধলো না তাঁর। স্থানীয় বাসন্তী এলাকার বাসিন্দা সিরাজ সর্দারের পুত্র আসরাফুল সর্দারের সাথে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন কুতুইবুদ্দিন হালদার। পরিবারের সকলে যখন মেয়ের বিয়ের জোগাড় করতে ব্যস্ত তখন নাবালিকার কাতর আর্তি, এখনই বিয়ে নয় বাবা, পড়তে চাই। কিন্তু মেয়ের কাতর আর্তি পৌঁছায় নি ইস্পাত কঠিন পিতার মনকে। স্বভাবতই, অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেসময় স্কুলের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, তখন কনের সাজে বিয়ের পিড়িতে বসতে হল ওই নাবালিকাকে। আর সেই সঙ্গে এই ঘটনা আবারও আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল বর্তমান এই সমাজের করুন চিত্র। কিন্তু কতদিন? কতদিন এভাবে সমাজের নাবালিকাদের অকালে এভাবে নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে পরিবারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হবে?