সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- শনির সাড়েসাতি কথাটি শুনে অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বড় ঠাকুর হলেন ধর্মের পক্ষে। তিনি সবসময় ন্যায় দান করেন, যদি কেউ অহংকার করে তাহলে তার অহংকারের দমন করে তিনি তাকে সঠিক পথে নিয়ে আসেন। তাই আপনি যদি সৎ পথে ধর্ম পথে চলেন তাহলে আপনার ন্যায়দাতা শনিদেবকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি আজকে আপনাদের পৌরাণিক একটি ঘটনা বলবো।
পদ্মপুরাণ ও স্কন্ধ পুরাণে এই কাহিনী বর্ণিত রয়েছে।
সূর্যবংশীয় অযোধ্যার রাজা দশরথের নাম সকলেই জানেন তিনি রামচন্দ্রের পিতা ছিলেন। একবার দশরথ জানতে পারলেন যে তার রাজ্যের মধ্যে প্রবেশ করতে চলেছেন শনিদেব। তিনি তখন অনুভব করলেন এটি তার রাজ্যের জন্য অশুভ হবে তাই তিনি বড় ঠাকুরকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গেলেন। রাজা দশরথ দিব্য রথ নিয়ে আকাশ পথে শনি দেবতার মুখোমুখি হলেন ও তার স্তোত্র পাঠ করে তাকে বললেন,“হে দেব, আমি জানি আপনি মহা তেজস্বী। আমি অযোধ্যার রক্ষক হয়ে আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি দয়া করে আমাদের রাজ্যের দিকে দৃষ্টি দেবেন না। আমার প্রজাদের কষ্ট দেবেন না। যদি আপনাকে যুদ্ধ করতে হয়, তাহলে আমার সঙ্গে করুন কিন্তু আমার প্রজাদের কে কষ্ট দেবেন না।”
দশরথের প্রজার প্রতি এই ভালোবাসা দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন বড় ঠাকুর। তিনি আশীর্বাদ করে বলেন,“ তোমার সাহস প্রজ্ঞা ও ধর্মপরায়ণতার জন্য আমি তোমার রাজ্যে কোন ক্ষতি করব না। আমি তোমাকে বর দিচ্ছি যে ব্যক্তি তোমার নাম স্মরণ করবে এবং তোমার পদচিহ্ন অনুসরণ করবে তার উপর আমার কুদৃষ্টি পড়বে না।”





