সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- শৈব ও বৈষ্ণব উভয় সম্প্রদায় ভক্তিভরে পালন করেন মহা শিবরাত্রি। দেবাদিদেব মহাদেব কে প্রসন্ন করতে এই ব্রত পালন করেন সকলে। শিব পুরাণ অনুযায়ী বলা হয় যে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে হলো মহা শিবরাত্রি। যে ভক্ত এই দিন ঐকান্তিকভাবে দেবাদিদেব মহাদেবের উপাসনা করবেন তিনি সর্ব পাপমুক্ত হয়ে অন্তে শৈব লোকে স্থান পাবেন। তবে ২০২৩ এর শিবরাত্রি নিয়ে কিছু তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩ এ শিবরাত্রি কবে ১৮ তারিখ না ১৯ তারিখ এই নিয়েই মূলত তর্কের সূত্রপাত!
পঞ্জিকাতে লেখা আছে যে এইবছর চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে, ১৮ইফেব্রুয়ারী, ২০২৩র সন্ধ্যা ৬টা৩৫মি.৪৫সে.থেকে। এই চতুর্দশী তিথি শেষ হচ্ছে ১৯ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩র বিকাল ৪টা ০৮মি.৪৯ সে. পর্যন্ত। তাহলে ১৮ না ১৯ কবে পালন করা হবে শিবরাত্রি?
১৮ তারিখ শিবরাত্রি যারা বলছেন তারা প্রমাণ দেখাচ্ছেন যে যেহেতু ১৮ তারিখের শিবরাত্রি নিশিকালব্যাপী চতুর্দশী তাই এটি পালনীয়। আর ১৯ শে শিবরাত্রি পালনের পক্ষে কিছু মানুষ যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, ত্রয়োদশীযুক্ত চতুর্দশী রয়েছে ১৮ তারিখ তাই ১৯ তারিখ ই পালনীয়?-এক্ষেত্রে শাস্ত্রমতে কোন দিনটি শিবরাত্রি হিসেবে পালনীয়?
এক্ষেত্রে বলা যায় শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে মহানিশা ব্যাপিনী চতুর্দশী তাই পালন করা উচিত। রাত্রির মধ্যম প্রহরদ্বয়ের যে মুহূৰ্ত্ত, তাহাকে মহানিশা বলে। অন্যদিকে শিবরাত্রির ব্রত কথায় আছে সমগ্র রাত্রি ব্যপি চার প্রহরের চার বার শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়। তাই সবদিক বিবেচনা করে বলা যায় যে, ১৮ ই ফেব্রুয়ারিই শিব চতুর্দশী পালন করা হবে।