eaibanglai
Homeএই বাংলায়শ্রাবণ মাসেই বলুন নমঃ নারায়ণ!কেন বলবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক

শ্রাবণ মাসেই বলুন নমঃ নারায়ণ!কেন বলবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক

সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- শ্রাবণ মাসে শৈব ধামে যাত্রা শুরু করেছেন, এখন শৈব পুরাণ মতে বলা হয় দেবাদিদেব মহাদেব অনাদি, পরমব্রহ্ম, তিনিই সৃষ্টি, তিনি ধ্বংস,তিনি মহাকাল! আবার বৈষ্ণব গ্রন্থে তাকে বলা হয় , তিনি পরম বৈষ্ণব, নারায়ণ ও শ্রীকৃষ্ণের সবথেকে বড় ভক্ত, তাকে আশ্রয় করলেই নারায়ণ লাভ হয়। এক এক মতে এক একভাবে বললেও হরিহর যে একাত্মা এ তো আমরা সবাই জানি। তাই শ্রাবণ মাসের শুরুটা হোক এক আধ্যাত্মিক অভ্যাসের দ্বারা। আমরা যেমন হরে কৃষ্ণ, রাধে রাধে বলি তেমনি প্রতি কথার শুরু ও শেষে যদি নমঃ নারায়ণ বলি, তাহলে? কেন প্রতি কথার শেষে বলবেন নমঃ নারায়ণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বৈদিক ও তান্ত্রিক পন্ডিত কৃষ্ণেন্দু সান্যালের সঙ্গে কথা সূত্রে খেয়াল করি, উনি সব কথার শেষে নমঃ নারায়ণ বলেন,এখন কথার শেষে হরে কৃষ্ণ বা রাধে রাধে শুনতে শুনতে আমাদের কান অভ্যস্ত কিন্তু নমঃ নারায়ণ শুনে একটু অবাক হয়েই তাকে জিজ্ঞেস করি, সব কথার শেষে নমঃ নারায়ণ বলার পিছনে কোন‌ও বিশেষ কারণ?

কৃষ্ণেন্দু সান্যাল তখন বলেন, “নারায়ণ” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে, যেখানে “নার” শব্দের অর্থ জল বা মানুষ এবং “অয়ন” শব্দের অর্থ আশ্রয় বা গতিপথ। তাই, নারায়ণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল, “যিনি জলে শয়ন করেন” বা “মানুষ যেখানে আশ্রয় নেয়”। নমঃ ব্রহ্ম তত্ব… গীতায় বলা হচ্ছে মানুষের মধ্যেই দুটি ভাব আছে। দেব ভাব এবং অসুর ভাব। এই আসুরিক প্রবৃত্তিকে দমন করাই মানবের কাজ। তাই মানুষের মধ্যেই সেই দেবত্ব শক্তির জাগরণের জন্য ই আমি নমঃ নারায়ণ ব্যবহার করি। জীবের মধ্যেই শিব আর জীব যখন প্রাণহীন তখন সে শব।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments