সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- আজকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার, আজকে আবার একাদশী। নাহ, আজকে আমি আপনাদের শিবপুজোর কোনও মন্ত্র বলতে আসিনি, শুধু একটা কথাই বলতে এসেছি, শিব পুজো যখন করবেন তখন তার বিধিবদ্ধ নিয়ম কোন সৎ ব্রাহ্মণ, পুরোহিত বা গুরুর থেকে জেনেই করবেন। কারণ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আমি শিব পূজার নানা রকম পদ্ধতি দেখেছি কিন্তু তার মধ্যে কিছু কিছু পদ্ধতিতে অনেক ভুল থাকে। যেমন দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় কীভাবে বেল পাতা দিতে হয় তাই ভুল দেখানো হয়, দেবাদিদেব কে স্নান করার পদ্ধতি ও কোথাও ভুল দেখানো হয়, তাই আজ আমি আপনাদের এটাই বলব যে শ্রাবণ মাসে শিব পূজা করলে অবশ্যই কোনও জ্ঞানী মানুষের থেকে পরামর্শ নিয়ে করুন। কারণ দেবাদিদেব মহাদেব অল্পেই সন্তুষ্ট হলেও আপনি ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে পুজো করে কেন পাপের ভাগীদার হবেন? একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন মানুষ পাপ জেনে করুক অথবা না জেনে ফল কিন্তু তাকেই ভুগতে হয়। স্বয়ং গঙ্গা পুত্র ভীষ্ম কেও তার পূর্ব জন্মের পাপ ভোগ করতে হয়েছিল যে পাপ তিনি অজান্তে করেছিলেন। তাই শ্রাবণ মাসে যদি আপনি শিবের ভক্তি করতে চান তাহলে পুজা পদ্ধতি জেনে ভালো মতো করুন, না হলে একমনে শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র জপ করতে পারেন।লএতেও আপনি ফল পাবেন। শিবের পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র আপনি জানেন, তবু এই মন্ত্র জপের আগে কোনও সৎ ব্রাহ্মণের থেকে একবার জেনে নিন তারপর জপ করুন। এতে আপনার ভালোই হবে।
শিব পুজোর ক্ষেত্রে সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যোদয়ের পর থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে পুজো সেরে ফেলার চেষ্টা করুন, অসুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে সময়ে কিছুটা ছাড় আছে। তবে প্রত্যেককেই বলব চেষ্টা করবেন কোন কিছু না খেয়ে শিব পুজো করার। খুব বেশি দেরি হলে সকাল ৯ঃ০০ টার মধ্যে পুজো সেরে ফেলার চেষ্টা করবেন।
এবং সবশেষে একটাই কথা বলব শিব হচ্ছেন ইষ্ট, তিনি আবার গুরুও। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে বাবা-মা তার গুরু হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের পর স্বামী গুরু হয়,(তবে স্বামীকেও গুরুর মত আচরণকারী হতে হয়)। তাই এই শ্রাবণ মাসে আপনি যেমন দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করছেন তেমনি আপনার জীবনে যারা গুরু তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করুন। হরে কৃষ্ণ। রাধে রাধে। জয় শিব শম্ভু।





