এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- সংসারে কিছুতেই অর্থাভাব যাচ্ছে না! অর্থকষ্টে দিন কাটাছে?বহু পরিশ্রেও মিলছে না ফল? আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী হয়ে যাচ্ছে? হতে পারে শনিদেব আপনার উপর রুষ্ট কিংবা হয়তো মা লক্ষ্মী আপনার উপর সদয় নন। তবে বৈদিক জ্যোতিষ এবং বাস্তুশাস্ত্র মতে একটি বিশেষ ফুল গাছ আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে এই ফুল গাছ ব্রহ্মকমলের মতো কোনও বিরল গাছ নয়। জবা, টগর, কলকের মতো গৃহস্থ বাড়িতেই দেখে মেলে এই ফুল গাছের। কথা হচ্ছে আপরাজিত ফুল গাছের।
অপরাজিতা ফুলকে হিন্দু ধর্মে খুব বিশেষ বলে মনে করা হয়। প্রতিদিনের পুজোয় এই ফুল ব্যবহৃত হয়। এই ফুলকে পুজোর জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এমনকি এই ফুলকে দেবী দুর্গার অবতার বলে মনে করা হয়। শিবের খুব প্রিয় ফুল এই অপরাজিতা। তাই এই ফুলের আরেক নাম নীলকণ্ঠ। ভগবান শিবকে অপরাজিতা ফুল নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ আসে। ভগবান বিষ্ণুও অপরাজিতা ফুল খুব পছন্দ করেন। ঘরে অপরাজিতা ফুল গাছ থাকলে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। তাই একে বিষ্ণুপ্রিয়াও বলা হয়। এই ফুল নিবেদন করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই ফুল নিবেদন করলে প্রসন্ন হন শনিদেবও । সাধারণত এটি সাদা এবং নীল দুটি রঙে পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে নীল অপরাজিতা ফুল লাগানো সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।
জ্যোতিষ ও বাস্তু মতে অপরাজিতা গাছের নানা রকম গুণ রয়েছে। অপরাজিতা গাছের চমৎকারী গুণ অর্থ ভাগ্য ফেরাতে সাহায্য করে। এর ফলে অর্থের অভাব মিটে যায় খুব তাড়াতাড়ি। শুধু অর্থের অভাব নয় পারিবারিক সুখ শান্তি বজায় থাকে এই গাছ বাড়িতে রাখলে।
এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই গাছ বাড়িতে রাখতে হয়। এই গাছ কয়েকটি নিয়ম মেনে বাড়িতে রাখতে হয়। প্রথমত, মনে রাখবেন অপরাজিতা ফুলের কথা। এই ফুল যদি শনিদেবকে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি কৃপাবর্ষণ করেন। তাঁর আশীর্বাদ পেতে শনিমন্দিরে এই ফুল দিয়ে পুজো দিন। এবার আসা যাক, গাছের কথায়। অপরাজিতা গাছ বাড়িতে ইতিবাচক বা পজিটিভ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তার জন্য জানতে হবে কয়েকটি নিয়ম। বাড়ির প্রধান দরজা বা গেটের ডান পাশে এটি রাখতে হবে। দরজা দিয়ে বাইরে বেরনোর সময়ে যেন গাছ আপনার ডানদিকে থাকে। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই চারা রোপন করতে পারেন। সেটিকে শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া প্রতি সোম ও শনিবার প্রবাহিত জলে তিনটি অপরাজিতা ফুল রাখুন। এতে ধন-সম্পদ লাভ হয় এবং পরিবারে কখনও অর্থের অভাব হয় না।