eaibanglai
Homeএই বাংলায়তারকেশ্বরে নন্দীর কানেই কেন মনস্কামনা জানানো হয়?

তারকেশ্বরে নন্দীর কানেই কেন মনস্কামনা জানানো হয়?

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ– শৈবতীর্থ তারকেশ্বর মন্দিরে যে সকল যাত্রীরা আসেন তারা সবাই দেখে থাকেন বাবার মন্দিরে ঢোকার সময় নন্দীর মূর্তি আছে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অনেকেই নন্দীর কানে হাত দিয়ে কিছু একটা বলতে থাকে ফিসফিস করে, কিন্তু কী বলা হয় কেনই বা বলা হয় এ সম্পর্কে কারোর কোন ধারনা নেই! চলুন জেনে নিই শৈব তীর্থ তারকেশ্বরে নন্দীর কানে ফিসফিস করে তীর্থযাত্রীরা কী বলেন? নন্দীর কানে ফিসফিস করে ভক্তরা নিজেদের মনস্কামনা জানান। এইবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নন্দীর কানে মনস্কামনা কেন জানানো হয়?

পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেব দিনের অধিকাংশ সময় তপস্যায় মগ্ন থাকেন, বাবার তপস্যায় যাতে বিঘ্ন না আসে তাই দেখে রাখেন নন্দী। তিনি তাই সর্বক্ষণ বাবার সেবায় ব্যস্ত থাকেন যখন বাবা তপস্যারত অবস্থায় থাকেন, এই সময় যে সকল ভক্তরা শিব দর্শনের জন্য আসেন, তারা সকলেই নন্দীর কানে নিজের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে চলে যান। বলা হয় নন্দীর কানে বলা সমস্ত মনস্কামনায় দেবাদিদেব মহাদেবের কানে পৌঁছে যায়। এই কারণেই শৈবতীর্থে গিয়ে নন্দীর কানে মনস্কামনা জানিয়ে থাকেন তীর্থযাত্রীরা। এছাড়াও পুরান অনুযায়ী বলা হয় যে দেবাদিদেব মহাদেব নন্দীকে একবার আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, যে সকল ভক্তরা তাঁর কানে নিজের মনস্কামনা জানাবেন, তাদের সকল ইচ্ছে পূরণ হবে।

তারকেশ্বরে গেলে দেখবেন দেবাদিদেব মহাদেব তারকনাথের পুজো করার পর তীর্থযাত্রীরা সবাই নন্দীর পুজো করেন। আপনারাও তারকনাথকে প্রদক্ষিণ করার পর এবং তারকনাথের পুজো সম্পন্ন করার পর অবশ্যই নন্দীর সামনে একটি প্রদীপ প্রজ্বলিত করবেন এবং তারপর নন্দীর আরতি করে তার কানে নিজের মনস্কামনার কথা জানাবেন। নন্দীর কানে মনস্কামনা জানানোর কতগুলি নিয়ম আছে সে প্রসঙ্গে পরের প্রতিবেদনে জানাবো,আজ এই পর্যন্তই।হরে কৃষ্ণ,রাধে রাধে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments