সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ– ৪ই মে ২০২৩ নৃসিংহ দেবের আবির্ভাব তিথি। এই তিথি প্রতিটা ব্যক্তি মাত্রই অবশ্যই পালন করা উচিত, এই ব্রত করার নিয়ম হলো সন্ধ্যাকালীন অবধি নির্জলা উপবাস, এই উপবাস রাখতে অসমর্থ হলে সারাদিন একাদশীর মত অনুকল্প প্রসাদ ভক্ষণ করা যেতে পারে। সন্ধ্যায় নৃসিংহ দেবের শুভ আবির্ভাব মুহুর্তে নরসিংহ দেবের আরতি করে তারপর প্রসাদ গ্রহণ। কিন্তু কেন এই ব্রত প্রত্যেকটি ব্যক্তি মাত্রই করা উচিত, সেটি জানবার জন্য সবার আগে নৃসিংহ চতুর্দশী মাহাত্ম্য কথা জানতে হবে।
১। ভগবান নৃসিংহদেব বলেছেন, যারা এই জন্ম মৃত্যুময় চক্রে ভীত তারা এই পরম গোপনীয় নৃসিংহ চতুর্দশী পালন করলে শত কোটি কল্পেও তাদের এই পৃথিবীতে পুনরাবৃত্তি হয় না অর্থাৎ জন্ম হয় না।
২। এই গোপন ব্রত পালনের ফল অনেক গুণ বেশি, ১০০০ টা ব্রত করলে যে পুণ্য হয় এই ব্রত পালনে তাহার সমান ফল লাভ হয়ে থাকে।
৩। এই ব্রত ভক্তিযুক্ত মনে পালন করলে দরিদ্র ব্যক্তি লক্ষী লাভ করে আর পুত্রহীন ব্যক্তি পরম বিষ্ণু ভক্ত পুত্র লাভ করে থাকেন।
৪। ভগবান নৃসিংহ দেব আরো বলেছেন যে, যারা আমার এই পরম গোপনীয় ব্রতের কথা ও মহিমা জানা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রতদিন লঙ্ঘন করে চন্দ্র- সূর্য যত দিন থাকবে ততদিন সেই ব্যক্তিকে নরক যাতনা ভোগ করতে হবে।
ভগবান নৃসিংহ দেব আরো বললেন যে, আমার ভক্তরা সাধারনত এই ব্রত পালন করে থাকে। কিন্তু সকলেরই এই ব্রত পালন করা কর্তব্য।
৫। এই ব্রতের ফল অসীম, এই এক ব্রতের ফল বর্ণনা করা যায় না।
৬। এই ব্রত পালন করলে হত্যাজনিত কোটি পাপ বিনষ্ট হয়।
৭। এই ব্রতের মাহাত্ম্য কীর্তন করলেও ব্যক্তির সকল পাপ নষ্ট হয়।
৮। যে মানুষ ভক্তিসহকারে এই ব্রত পালন করেন সে ভগবান নৃসিংহ দেব অর্থাৎ শ্রীগোবিন্দের কৃপা লাভ করেন, ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজও এই ব্রত পালন করেই ভগবানকে লাভ করেছিলেন।