সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- আগামী ১৯ শে অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে কার্তিক মাস। এই কার্তিক মাসে দীপ দান করা অবশ্য কর্তব্য। বলা হয় সকল মাসের মধ্যে কার্তিক মাস শ্রেষ্ঠ। কারণ এই মাসে স্বল্প কর্মে অধিক পূণ্য ফল লাভ হয় তাই প্রতি ব্যক্তির উচিত এই মাসে ভগবানকে দীপ দান করা। স্কন্দ পুরানে কার্তিক মাসের দীপ দান সম্পর্কে মাহাত্ম্য কথা লেখা হয়েছে।
দীপদান-মাহাত্ম্য সম্পর্কে স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে-
১। বহু সহস্রকোটি পাপ করেও যদি কার্তিকমাসে বিষ্ণুরালয়ে অর্দ্ধ-নিমেষের জন্য দীপদান করেন, তাহলে তার সমুদায় পাপ বিনষ্ট হয় ।
২। হে বিপ্রেন্দ্ৰ ! কার্ত্তিকমাসে কেশবপ্রিয় দীপদানের মাহাত্ম্যাবলী শ্রবণ কর । কার্তিক মাসে বিষ্ণুরালয়ে দীপদান করলে পৃথিবীতে পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয় না।
৩। সূর্য্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে ও চন্দ্রগ্রহণে নৰ্ম্মদাতীর্থে দানাদি করলে যে ফল হয়, কাৰ্ত্তিক মাসে দীপদানে তদপেক্ষা কোটি গুণ ফল লাভ হয়ে থাকে।
৪। বিষ্ণুরালয়ে যে ব্যক্তি ঘৃত প্রদীপ বা তিলতৈল প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, তার আর অশ্বমেধ যজ্ঞের প্রয়োজন কি? অপর মন্ত্রহীন, ক্রিয়াহীন, শৌচহীন কৰ্ম্মসকল কার্ত্তিক মাসে জনাৰ্দ্দনকে দীপদান করলে সমস্তই সম্পূর্ণ হয় ।
৫। যে ব্যক্তি কাৰ্ত্তিক মাসে কেশবের অগ্রে দীপদান করেন, তার সর্ব্বপ্রকার যজ্ঞ ও সকলপ্রকার তীর্থে অবগাহন করা হয়। স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালে সেই পৰ্য্যন্ত পুণ্য-সকল গর্জন করে কার্ত্তিকমাসে যে-পর্য্যন্ত কেশবের অগ্রে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত না হয়েছে ।