সংবাদদাতা,শিলিগুড়িঃ- গতকালই রাজ্যে অনুষ্টিত হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর নির্বাচনে সন্ত্রাস ও হিংসার পাশাপাশি ভোট লুঠ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগও উঠেছে। নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিগৃহীত হতে হয়েছে সাংবাদিকদের। বাদ পরেনি উত্তরবঙ্গও। গতকাল জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের নাথুয়াহাটে ছাপ্পা ভোটের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হন একাধিক সাংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাদের নিগৃহ করার পাশাপাশি মারধরও করা হয়। এমনকি এর থেকে ছাড় পাননি মহিলা সাংবাদিকরাও। আর এই ঘটনার জেরে ১০ জন সাংবাদিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রবিবার ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালো শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিৎ করা ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে এদিন একটি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ শুরু হয় মিছিল। মিছিলটি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অবস্থিত জার্নালিস্ট কাবের সামনে থেকে শুরু হয় ও কোর্টমোড়ের কাছে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হন ক্লাবের সাংবাদ কর্মী সংদস্যরা। পাশাপাশি আয়োজিত হয় একটি পথসভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক অংশুমান চক্রবর্তী, সহ সভাপতি ইরফান এ আজম, যুগ্ম সম্পাদক শুভদীপ রায় নন্দী সহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। পথসভায় বক্তব্য রাখেন অংশুমান চক্রবর্তী, প্রবীন সাংবাদিক বিপিন রায়, অভিজিৎ সরকার, বৈজু আগরওয়াল, ভাস্কর বাগচী, সঞ্জীৎ সেনগুপ্ত, সঞ্চিতা আইচ বাগ সহ অন্যান্যরা। সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না করলে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন অংশুমানবাবু। প্রসঙ্গত শুধু শিলিগুড়িতেই নয় রাজ্যের জেলায় জেলায় সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সংবাদ কর্মীরা।