সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– সামনেই তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির মাঝেই সিমলাপালে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের ‘কর্মী সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা’র মঞ্চ থেকে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলেরই একাংশ। যদিও দলীয় নেতৃত্বের দাবি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত সোমবার সিমলাপালের স্থানীয় কমিউনিটি হলে তৃণমূলের ‘কর্মী সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা’র আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মমতা সিংহ মহাপাত্র, দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সনৎ দাস, সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন পাল এবং বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ দেবাশীষ গুলিমাঝি সহ বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উজ্জ্বল মল্লিক ও অন্যান্যরা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল মল্লিক নাম না করে দলের সিমলাপাল ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বিজেপি এবং সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে সংগঠনের ক্ষতি করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটে যখন রাজ্যে দলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, ঠিক তখন সিমলাপালে জয়ের ব্যবধান কমছে। এর উত্তর বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারীদেরই দিতে হবে।” একই সঙ্গে এখন পদে থাকা নেতাদের সঙ্গে মানুষের কোন সংযোগ নেই, তাঁরা গাড়িতেই ঘুরে বেড়ান ও পুরানো কর্মীদের কোন সম্মান দেওয়া হয়না বলেও দাবি করেন তিনি । একই দাবি করেন, তৃণমূল নেত্রী তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মমতা সিংহ মহাপাত্রও। তাঁর দাবি বর্তমানে যোগ্য সম্মান না পেয়ে অনেক পুরানো নেতৃত্ব বসে গেছেন।
এবিষয়ে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও দলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক রবিদাস চক্রবর্ত্তীর দাবি, “কিছু লোক জমায়েত হয়েছিল শুনেছি, তবে দলীয়ভাবে এমন কোন কর্মসূচী নেওয়া হয়নি। যে যাই বলুন বিগত নির্বাচন গুলির ফলাফল ওই কথার উত্তর দেবে। তবে সিমলাপাল ব্লক এলাকায় দলের অভ্যন্তরে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই।”