সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– সম্প্রতি বালি কয়লা পাচার সহ বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের একাংশ এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমনে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ সেই নির্দেশই সার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকে শিলাবতী নদী থেকে দিনে দুপুরে বালি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। সিমলাপালের গোটকানালি গ্রাম সংলগ্ন কুসুমকানালী এলাকার মানুষের দাবি, ‘বালি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে এই এলাকা। এখন আর রাতের অন্ধকারে নয়, দিনে দুপুরেই রমরমিয়ে চলছে বালি পাচারের কারবার।
রবিবার সংবাদ মাধ্যম খবর করতে গেলে দেখা যায় সিমলাপালের কুসুমকানালী মৌজা সংলগ্ন শিলাবতী নদী থেকে ট্রাক্টরে বালি তোলা হচ্ছে। ক্যামেরা দেখে রণেভঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন বালি পাচারকারীরা।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তাহলে চুরি কি করে আটকানো যাবে? এই বালি চুরির কমিশন সমস্ত তৃণমূল নেতা এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে যায়।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রবিদাস চক্রবর্তী দাবি করেন, বালি পাচারের ঘটনায় বিজেপির নেতৃত্বরা জড়িত রয়েছে। এই ধরনের বেআইনি কাজকে তৃণমূল কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। একইসঙ্গে প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক বলেও তিনি জানান।
একদিকে এই বালি পাচার নিয়ে যখন রাজনৈতিক তরজা চলছে তখন অন্যদিকে শালীবতী নদী পার্শ্ববর্তী সিমলাপাল ব্লকের গোটকানালি ও কুসুমকানালি গ্রাম সহ আশপাশের এলাকা বড় ভাঙনের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি শিলাবতীর গর্ভ থেকে প্রতি দিন টন টন বালি পাচার হচ্ছে। অবৈধ এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি খননের ফলে নদীগর্ভের এক এক জায়গায় বিশাল গর্ত তৈরি হচ্ছে । তার সঙ্গেই বিপজ্জনক ভাবে ভাঙছে নদী পার। এখনই প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে এই গ্রামগুলির অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।