নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ষষ্ঠ দফা ভোটের আর মাত্র কয়েকটা দিন, তাই ভোট চলাকালীন অশান্তি বা হিংসা রুখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনী। রাজ্যে পাঁচ দফা ভোটে একাধিক অশান্তির আঁচ প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্যবাসী, তাই ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। যার আঁচ পাওয়া গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানা এলাকায়। ক্যানিং থেকে বারুইপুরগামী রাস্তার ধলিরবাটি এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বাইরে থেকে আসা সমস্ত যানবাহনের ওপর কড়া নজরদারির পাশাপাশি সমস্ত গাড়িগুলিকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে চলছে তল্লাশি। বাদ যায়নি বিয়ের গাড়িও। বরযাত্রীর গাড়ি দাঁড় করিয়েও চলছে নাকা তল্লাশি। এককথায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। জানা গেছে, গতকালই ক্যানিং থানার জয়দেবপল্লী পাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান সার্টার পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি। ভোটের আগেভাগে এরকম অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা স্বভাবতই চিন্তায় রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে পুলিশ বাপি সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। গোপন সূত্র মারফৎ খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ বাপি সর্দার নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ভোটের সময় এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরী করতেই বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল ওই ব্যক্তি। কোথা থেকে সে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পেল তা খতিয়ে দেখছে তারা। অন্যদিকে, ভোটের আগে সীমান্ত এলাকা বা বাইরে থেকে যাতে বহিরাগত দুষ্কৃতি এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাচার না করতে পারে সেই কারণে শহরের বিভিন্ন জনবহুল রাস্তায় সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। অন্যদিকে ভোটের নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে, এলাকায় রুটমার্চের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বও উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে।