নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, ফলতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ- আর্থিক দিক দিয়ে ওদের অভিভাবকরা খুবই দুর্বল হওয়ার জন্য শহরের বিখ্যাত সব ঠাকুর প্যাণ্ডেল দর্শনের মত সুযোগ ওদের নাই। ওরা পাড়ার ঠাকুর দেখেই মনের ইচ্ছে পূরণ করত। এরজন্য ওদের মনে একটা আফসোস থেকে গিয়েছিল। ওরা সব দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। কিন্তু এবারও ওদের আফসোস দূর করার জন্য এগিয়ে এলো ওদের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওদের জন্য আয়োজন করে পুজো পরিক্রমার।
৫ ই অক্টোবর তিনটি সুসজ্জিত গাড়িতে ১২৩ জন শিক্ষার্থী সহ বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে শুরু হয় পুজো পরিক্রমা। বিদ্যালয়ের আশেপাশের ১২ টি মণ্ডপে ঘোরা হয়। সেইসময় ওদের মধ্যে বাঁধন ছাড়া আনন্দ দ্যাখা যায়। মন খুশিতে ভরে ওঠে। তাদের চোখে-মুখে দেখা যাচ্ছিল খুশির ঝিলিক। খুশি তাদের অভিভাবকরাও। ঠাকুর দেখে বিদ্যালয়ে ফিরে আসার পর শারদোৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় ছোট্ট একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবিতা, নৃত্য, সঙ্গীত প্রভৃতির মাধ্যমে আগমনীর আগমন বার্তায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় চত্বর। ৪৩ জন প্রকৃত দুঃস্থ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন পোশাক। তবে এখানেই শেষ নয়। উপস্থিত প্রায় ৪১৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন করা হয় চিলি চিকেন ও ফ্রাইড রাইসের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলতা পঞ্চায়েতের প্রধান শবরী হালদার সরদার, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব রাবিয়াল জমাদার সহ আরও অনেকেই। সবাইকে শুভ শারদীয়ার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিলক বাবু বললেন – ওরা আমাদের সন্তান। তাই ওদের জন্য পুজো পরিক্রমার আয়োজন করলাম। ওদের মুখের সরল ও পবিত্র হাসি আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্য ।