নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ শ্রাবনের শেষ সোমবার উপলক্ষে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলী লহরিয়া শিব মন্দিরে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো| জানা যায় এই শিব মন্দিরটি খুবই জাগ্রত বলেই লোকমুখে প্রচলিত| তাই জেলার অন্যান্য শিব মন্দির গুলির মধ্যে লহরিয়া শিব মন্দির অন্যতম |এই শিব মন্দিরে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্য ছাড়াও, উড়িষ্যা, দেওঘর, বিহার থেকে হাজার হাজার ভক্ত প্রতিবছরই এসে থাকেন |লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের মধ্যে বিষ্ণু কুমার, প্রদীপ সাউ প্রমুখরা বলেন আমরা ঝাড়খণ্ডের রামগড় এলাকা থেকে প্রতিবছর এখানে শেষ সোমবারে এসে থাকি ,তাই এ বছরও এসেছি এই মন্দিরে ,এছাড়াও এখানের আরেকটা বিশেষ অ্যাডভান্টেজ হল ,ভক্তরা শিব মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালার পর ঘুরতে চলে যান অযোধ্যা পাহাড়ের আপার ড্যাম,লোয়ার ড্যাম, বামনি ফলস, মার্বেল লেক, সীতা ফলস, রাম আশ্রম ,হুসল্ ডুঙরি ,ময়ূর পাহাড় ,সীতা কুন্ডু ,কাঠের দূর্গা ,টুরগা ফলস ,পাখি পাহাড় প্রভৃতি এলাকা|পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্ট নামক একটি অস্থায়ী কর্মচারী সংঘঠন ভক্তদের উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মহা ভোগ খিচুড়ির আয়োজন করেন, সেখানে প্রায় লক্ষাধিক ভক্তরা মহাভোগ খিচুড়িকে শিবের প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন। একইভাবে পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্টের অস্থায়ী কর্মচারী কমিটির পক্ষ থেকে শিকারি মাঝি বলেন প্রতি বছর আমরা ভক্তদের উদ্দেশ্যে মহা ভোগ খিচুড়ির আয়োজন করে থাকি| সারাটা বছর বাবার মাথায় জল ঢালতে অপেক্ষা করে থাকেন আট থেকে আশি সকলেই। শ্রাবনের শেষ সমবার তাই বাবার মাথায় জল ঢালতে সকাল থেকেই যুবক যুবতী থেকে মায়েরা কাঁধে বাক নিয়ে রওনা দিয়েছেন । হাজার হাজার পূর্ণাথী দামোদর নদীতে জল নিতে আসেন । এখান থেকে জল নিয়ে সকলেই বিভিন্ন শিব মন্দিরে জল ঢালেন । গতবছর সোনামুখী ব্লকের ডিহিপারা পঞ্চায়েতের দামোদর নদীর ঘাটে দুই যুবক জল নিতে এসে মারা গিয়েছিলেন । আর সে কারনেই এবার যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে । সোনামুখীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই পূর্ণাথীরা দামোদর নদীতে জল নিতে আসেন । প্রীয়া বাউরি নামে এক পূর্ণাথী বলেন , আমি নিজের জীবনে যাতে ভালোভাবে কিছু করতে পারি সেই জন্য বাবার মাথায় জল ঢালতে এসেছি। আবার মাম্পি বাগদি নামে এক পূর্ণাথী বলেন, আমি শিবের মত বড় পাওয়ার জন্যই জল ঢালি।