সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- আজ নীলষষ্ঠী। আজকের দিনেই দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে পার্বতী রূপী নীলাবতীর বিয়ে হয়েছিল। সতীর বিয়োগের পর মহাদেব দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করেছিলেন রাজা নীলধ্বজের কন্যা নীলাবতীকে। এরপর বাসর ঘরেই দেবী নীলাবতী মক্ষিকার বেশ ধারণ করে প্রাণত্যাগ করেন। এ তো গেল মহাদেব আর নীলাবতীর কাহিনী। কিন্তু নীল ষষ্ঠীর উদ্ভব হলো কবে থেকে? এই প্রসঙ্গে আরো একটি গল্প প্রচলিত আছে। চলুন আজকে বলে দিই সেই গল্পটা।
বহু বছর পর এক ব্রাহ্মণ দম্পতির সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানদের মৃত্যু হওয়ায় নিঃসন্তান ওই দম্পতি মনের কষ্টে সরযূ নদীতে আত্মহত্যা করতে যান, তখন মা ষষ্ঠী তাদের কৃপা করে দেখা দেন। এই সময় মা ষষ্ঠী সেই নিঃসন্তান দম্পতিকে কৃপা করে বলেছিলেন যে, সন্তান কাঁদলে তাকে কখনো আপদ-বালাই বা দূর হয়ে যা – বলতে নেই। এই কারণেই তাদের আগের সন্তানগুলোকে মা ষষ্ঠী নিয়ে নিয়েছেন। মা ষষ্ঠী সেই সাথে ওই নিঃসন্তান দম্পতিকে বলেন, তারা যদি দুজনে একসাথে ভক্তিভরে মহাদেব ও নীলচন্ডীকার পূজো করে সন্তান লাভ বা সন্তানের মঙ্গলার্থে বাতি প্রজ্বলন করেন তাহলে তারা পুনরায় মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদ লাভ করবেন। এরপর ওই দম্পতি মা ষষ্ঠীর কথা মতো কার্য করেন ও এমনটা করার পর মা ষষ্ঠীর কৃপা প্রাপ্ত হয়ে তারা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সেই থেকেই নীল ষষ্ঠীর ব্রত শুরু হয়। এই মহাদেব আর নীলাবতীর বিবাহকে স্মরণ করেই নীল ষষ্ঠীর রাত্রে মহাদেব ও নীলাবতীর প্রতীকী বিবাহের আয়োজন করা হয়।