সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- জগৎ জননী শ্রী মা সারদা দেবী ছিলেন সাক্ষাৎ দেবীর অংশ। সারদা দেবী তার সম্পূর্ণ জীবনে এমন অনেক অলৌকিক কান্ড ঘটিয়েছেন যা দেখে মানুষজন বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন! এবং অনেকেই তাদের সম্পূর্ণ জীবনে শ্রী মার মধ্যে দেবীত্ব এবং দেবী দুর্গা ও কালী রূপের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। দেবীপক্ষের প্রাক্কালে আজ শ্রী মায়ের এমনি একটি রূপের বর্ণনা করবো, যা শ্রীশ্রীমায়ের পথপ্রান্তে( তৃতীয় খন্ড পৃঃ ৭০০)উল্লেখিত আছে। এই বইয়ে শান্তিরাম দাস লিখেছেন, তিনি এবং তার দিদি দুজনে মিলে শ্রীমা সারদা দেবীর মধ্যে সাক্ষাৎ কালীর রূপ দর্শন করেছিলেন।
দেখে নিই চলুন তিনি ঠিক কী বলেছেন, “পিসিমার পা-ছড়িয়ে বসা ছবিটা আমার চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে ভাসে। বৃদ্ধা কিন্তু দুচোখে কী মমতা! তবে আমি কিন্তু একদিন পিসিমাকে এক অন্য মূর্তিতেও দেখেছিলাম। আমি আর আমার এক দিদি সেদিন পিসিমার নতুন বাড়িতে গিয়েছি। পিসিমা বাড়ির বারান্দায় বসেছিলেন। হঠাৎ দেখলাম পিসিমা উঠে দাঁড়ালেন। অবাক হয়ে দেখলাম, পিসিমার মতো দেখতে, কিন্তু এ কোন্ পিসিমা? যুবতী, ঢলঢল দিব্য কান্তি, পিঠের দিকে চুল সব খোলা যেন পায়ের কাছে ভুঁয়ে ঠেকে গেছে। ঠিক যেন মা-কালীর মতো। দিদিকে ভয়ে ভয়ে চুপিচুপি বললাম: ‘দিদি, পিসিমাকে দ্যাখ। কত চুল পিসিমার মাথায়!’ দিদিও একই দৃশ্য দেখতে পেল। ভয়ে একছুটে দুজনে বাড়ি চলে গেলাম। পিসিমার সেই মূর্তি আজও আমার মনে আছে। পিসিমা আমার নাম রেখেছিলেন ‘শান্তি’। আজ শুধু আমার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা কখন পিসিমা আমাকে তুলে নিয়ে পুরোপুরি শান্তি দেবেন! ”-জগজ্জননী শ্রী মা তিনিও তাঁর জীবনীতে বারংবার বলেছেন যারা তার শরণ নিয়েছেন তারা শান্তি পেয়েছেন, দেবী প্রক্ষের প্রাক্কালে সকলে মিলে চলুন শ্রী মার কাছে প্রার্থনা করি, ‘মাগো এই উত্তপ্ত পৃথিবীতে তুমি শান্তি বর্ষণ করো, তোমার সন্তানদের নিজে হাতে করে সঠিক পথে চালিত করো,আমরা সবাই পতিত সন্তান তোমার,তুমি ধুলো ঝেড়ে আমাদের কোলে তুলে নাও। এই জগৎ সংসারের সকলের মঙ্গল করো। প্রণাম শ্রীমা। প্রণাম কল্পতরু ঠাকুর রামকৃষ্ণ।’