সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: টন টন আম জড়ো করে প্রথমে আকার এবং প্রজাতি অনুযায়ী ভাগ করা হয়। একাধিক মানুষের সহযোগিতায় আম গুলিকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে এবং শুকনো রাখতে স্পঞ্জের জামা পড়ানো হয় আমগুলিকে। এবার পৃথক পৃথক বাক্সবন্দী করে দিল্লিতে পাঠাবার প্রস্তুতি শেষ করা হয়। বলাই বাহুল্য রয়েছে কিছু এক্সোটিক প্রজাতির আম যেমন বিশাল আকার “থাই ফোর কেজি”, যার ওজন ৪ কিলো এবং বাজারে বিক্রি করা হয় ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে। এছাড়াও আমেরিকান রেড পামার এবং ৫০০০ টাকা প্রতি পিস মূল্যে বিক্রি হওয়া মিয়াজাকি আমও বাঁকুড়ার লাল মাটি থেকে পাড়ি দিল দিল্লি। আম উৎপাদনকারী নিত্যানন্দ গড়াই বলেন, “বাঁকুড়ার মাটির আম সব থেকে মিষ্টি। টিএসএস ফ্যাক্টর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বাঁকুড়ার লাল মাটিতে। সেই কারণেই আমাদের আম মানুষের এত প্রিয়।”
কি ভাবছেন? প্রান্তিক জেলা লাল কাঁকুড়ে মাটির বাঁকুড়ায় এত ভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদন হচ্ছে, আর আপনি জানতেই পারছেন না! বিগত কয়েক বছর ধরে এই আমগুলি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছিল। সফলতা এসেছে খুবই ভালো, সে কারণেই বাঁকুড়ার আম্রপালি থেকে শুরু করে এক্সোটিক আম, সবই পাড়ি দিচ্ছে দিল্লি থেকে বিদেশ।