সঙ্গীতা চৌধুরী,তারকেশ্বরঃ- তারকেশ্বরের বুকে তালপুর যেন দ্বিতীয় চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে অধিকারী পাড়া থেকে উদয় সংঘ! প্রত্যেকটি পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে এত জগদ্ধাত্রী হয়েছে,যে গুণে শেষ করা যাবে না। কোথাও মা জগদ্ধাত্রী সেজে উঠেছেন ডাকের সাজে, কোথাও মা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা সবথেকে বড়,কোথাও মা হয়েছেন রণং দেহি।
তালপুরের অধিকারী পাড়াতে যেমন দেখা যায়, জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের যে প্যান্ডেলটি হয়েছিল সেখানে হস্তশিল্পী ছিল নিপুণভাবে! আসন, হাত পাখা, কুলো থেকে শুরু করে, বাউলের হাতে বাজানো একতারা পর্যন্ত ঠাঁই পেয়েছিলো সেখানে! আর ভেতরে ছিল বিখ্যাত কিছু গানের লাইন! মা যেন হয়ে উঠেছিলেন এখানে শিল্পের প্রতিভূ। এ তো গেল তালপুরের অধিকারী পাড়ার কথা, তালপুরের জাগরণী সংঘ তে প্যান্ডেল হয়েছিলো পাট কাঠি দিয়ে আর বড়াল পাড়াতে প্যান্ডেলের মধ্যে ফুটে উঠেছিল শৈব সংস্কৃতি ও কুটির শিল্প। প্যান্ডেলের বাইরে দেখা যাচ্ছিলো দেবাদিদেব মহাদেবের মূর্তি, নন্দী ও ত্রিশূল! আর প্যান্ডেলের ভেতরের দিকে ছিল মাটির বিভিন্ন কারুকার্যমন্ডিত সরা, মুখোশ, স্বস্তিক চিহ্ন।
পুরো তালপুরের প্রত্যেকটা পাড়ায় পাড়ায় রাস্তায় রাস্তায় যেমন লাইটের কাজ ছিল তেমনি বিয়ের বাড়ির মতো গলি গুলোকে সাজানো হয়েছিল সুন্দর করে। পুকুরের ওপরও ছিল আলোর কারুকার্য! অধিকারী পাড়া থেকে উদয় সংঘ, ইয়ংস্টার থেকে শুরু করে মহিলা প্রগতি সংঘ জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠা এই সকল ক্লাব গুলো দেখলে বারবার মনে হবে তালপুর যেন দ্বিতীয় চন্দননগর।