eaibanglai
Homeএই বাংলায়তারকেশ্বর মন্দিরে ঘন্টা রহস্যের কথা জানেন?

তারকেশ্বর মন্দিরে ঘন্টা রহস্যের কথা জানেন?

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ– হুগলি জেলার মধ্যে রয়েছে শৈব তীর্থ তারকেশ্বর। শিবভক্ত বা যে কোন পূণ্যাভিলাষী মানুষদের জন্য এই স্থানটি অতীব ফলপ্রদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই তারকেশ্বরে রয়েছে বাবা তারকনাথের বহু প্রাচীন মন্দির, যে মন্দির নিয়ে ভক্তি ও বিশ্বাসের বহু কাহিনী রয়েছে। বাবা তারকনাথ এত জাগ্রত যে এই থানে কোন মানুষ নিজের মনবাঞ্ছা নিয়ে হত্যে দিয়ে পরে থাকলে বাবা সেই ভক্তের যে কোনো অসম্ভব মনস্কামনায় পূরণ করেন। এই মন্দিরে হত্যে দিয়ে বহু মানুষ ফল পেয়েছেন। তারকেশ্বরের মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন বাবা তারকনাথের ঘরের ঠিক সামনে একটা জায়গায় বহু বড় বড় ঘন্টা বাঁধা রয়েছে তালা চাবি দিয়ে। অনেকেই জানেন না যে কেন বাবা তারকনাথের মন্দিরের এরকম বড় বড় তালা ঝুলছে,সেই কথা লেখবার জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন।

কথিত আছে বাবা তারকনাথ আওয়াজ প্রচন্ড পছন্দ করেন, সেই কারণে তার সন্ধ্যা আরতির সময় ঘন্টা থেকে শুরু করে নানান রকম কাঁসর,ঘন্টা,শিঙ্গা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। মন্দির প্রতিষ্ঠা শুরুর সময় যখন কোন বাদ্যযন্ত্র ছিল না তখন মুকুন্দ ঘোষ নিজের গাল বাজিয়ে বাবার আরতি করতেন এমনটা শোনা যায়। পরবর্তীতে বাবার মন্দির যখন হয় তখন সন্ধ্যা আরতির সময় নানান রকম বাদ্যযন্ত্রের প্রয়োগ করা হয়। বাবা তারকনাথের মন্দিরে তাই কোন ব্যক্তি যখন মানসিক করেন তখন তিনি ঘন্টা মানসিক করেন। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির মনোবাঞ্ছাপূর্ণ হলে তিনি বাবার মন্দিরে ঘন্টা নিয়ে আসেন।

এরপর সেই ঘন্টাটি তালা, চাবি দিয়ে বন্ধ করে চাবিটা দুধ পুকুরের জলে ফেলে দেয়। এছাড়া বাবার মন্দিরে অনেকে ঢিল ও বাঁধে। মনস্কামনা জানিয়ে ১০ টাকা দিয়ে ঢিল বেঁধে রাখা হয় তারপর মনষ্কামনা পূর্ণ হলে ঢিল খুলে ফেলতে হয়, তবে এক্ষেত্রে একটাই বিষয় মাথায় রাখতে হয় তা হল মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর নিজের ঢিল টাই খুলতে হবে, প্রচুর ঢিলের মধ্যে নিজের ঢিল খুঁজে পাওয়াটা একটা জটিল বিষয় তাই প্রচুর মানুষ বাবার মন্দিরে বাদ্যযন্ত্র ঘন্টা মানসিক করে থাকেন আর সেই কারণেই বাবা তারকনাথের মন্দিরে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন অজস্র ঘন্টা তালা চাবি দিয়ে ঝোলানো রয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments