সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- যেই কৃষ্ণ সেই কালী, একই ভগবান, মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে, এই কথা প্রথম মানব সমাজে প্রচারিত করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তিনি বলেছিলেন যে, জল একই, কেউ তাকে বলে পানি, কেউ তাকে বলে ওয়াটার, তাতে জলের কোন পরিবর্তন হয় না, তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির তৃষ্ণা মেটে। রামকৃষ্ণ আশ্রমে তাই সর্ব ধর্মের সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। ভেদ বুদ্ধি সেখানে বিলুপ্ত হয়ে যায়, একই সঙ্গে লক্ষ্য করা যায় মানব সমাজের প্রতি প্রেম। রামকৃষ্ণ আশ্রমের যে কোনো অনুষ্ঠানে তাই সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হয়, উৎসব বা পুজো যাই হোক সাধারণ মানুষকে উৎসবে যুক্ত করে দান, ধ্যান করা হয়। জীব জ্ঞানে শিব পুজোই এইসবের মূল উদ্দেশ্য।
তারকেশ্বরের রামকৃষ্ণ তোতাপুরী আশ্রমে দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রচুর মানুষকে অন্ন বস্ত্র দান করা হয়েছিলো। আর এইবার সেখানে কালী পুজো হয় মহাসমারোহে। গত ১২ই নভেম্বর মায়ের বিগ্রহ আসে এই আশ্রমে এবং পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর ১৩ই নভেম্বর মায়ের বিসর্জন হয়। এই আশ্রমের কাশীকানন্দ মহারাজ ১২ই নভেম্বর সারারাত ধরে মায়ের পুজো করেন। এদিন রাত দশটার দিকে পুজো শুরু হয় এবং এই পুজো শেষ হয় ১৩ তারিখ ভোর চারটেতে। এরপর মায়ের ভোগ প্রসাদ সকলের মধ্যে বিলি করা হয়। তারকেশ্বরের রামকৃষ্ণ তোতাপুরী আশ্রমে এইভাবেই নির্বিঘ্নে এবং ভক্তিযুক্তভাবে মায়ের পুজো সম্পন্ন হলো।