eaibanglai
Homeএই বাংলায়মহাপুরুষদের এই বাণী মানলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে আজীবন!

মহাপুরুষদের এই বাণী মানলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে আজীবন!

সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী)ঃ- আমরা অনেক সময় হয়তো এমনটা ভাবি যে শ্রীকৃষ্ণ, চৈতন্য মহাপ্রভু থেকে শুরু করে সারদা মা, রামকৃষ্ণ প্রত্যেকেই তাঁদের জীবতকালে এবং বাণীতে বলে গিয়েছেন যে সহজ সরল এবং শুদ্ধ হও। অপরের দোষত্রুটির দিকে তাকিও না। সারদা মা তো আরো কয়েক লাইন এগিয়ে বলেছেন,“কেউ পর নয় মা, জগত তোমার অপরের দোষ দেখোনা নিজের দোষ দেখো।”ইসকনের ডঃ নিতাই সেবিনী মাতাজিও অনেকটা এরকমই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “আমাদের জীবনে যখনই আমরা কোন ভক্তের দোষ দেখি আমাদের এটা ভাবা উচিত যে, ঠিক আছে এখন ওর ভিতর দোষ আছে, কিন্তু ও তো লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, তো ধীরে ধীরে যখন ও আর বেশী জপ করবে, ধীরে ধীরে শাস্ত্র পাঠ করবে, তখন ধীরে ধীরে ওর ভিতরে যেগুলো খারাপ গুন আছে, সেটা ধীরে ধীরে চলে যাবে, এটা একটা প্রসেস। কিন্ত আমরা যদি বসে বসে তাদের নিন্দা করি তাহলে লাভ কী!”- কিন্তু এখন আমরা ভাবতে পারি যে অপরে খারাপ হলে আমরা কী করে এরকম পজিটিভলি ভাববো? এর কারণ অনুসন্ধান করতে পারলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে পজিটিভ ভাবার কী কী ফায়দা আছে আপনার?

যুগে যুগে মহাপুরুষরা বলে গিয়েছেন, নিজে সৎ হও, নিজে ভালো হও, কর্ম করে যাও ফলের আশা করো না- এটা কি শুধুই আধ্যাত্মিক কথাবার্তা? একটু ভালো করে ভেবে দেখলে বুঝতে পারবেন এটা একটা সায়েন্স! আজ যে দুনিয়ায় এত রোগ ভোগ হচ্ছে মানুষের, সেখানে মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ, রাগ এগুলো যত দূরে রাখতে পারবেন তত আপনি শারীরিক ভাবে ভালো থাকবেন, আপনার হার্ট ভালো থাকবে, আপনার প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডাক্তাররা বলছেন দীর্ঘদিনের কোনও ক্ষোভ, কষ্ট,ভয় ইত্যাদি মনের মধ্যে পুষে রাখলে তাতে আদপে ব্যক্তির হার্ট ,ফুসফুসে, কিডনিতে নানান রকম খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই আপনার মন ভালো রাখতে আপনি নিজে পজিটিভ হোন, অপরকে পজেটিভ করতে হবে না, নিজে আগে পজিটিভলি ভাবুন, এতে আখেরে দিন শেষে আপনি সুস্থ থাকবেন আর দিনশেষে আপনাকে দেখে আপনার পরিবারের কোন একজন ব্যক্তিও যদি প্রভাবিত হয় জানবেন সেটাই আপনার অন্তর্নিহিত গুণ। ভগবানের অশেষ করুণায় আপনি অন্ততপক্ষে একটি মানুষকেও প্রভাবিত করতে পেরেছেন, এটুকুই বা কজন পারে? আর সেই কারণেই যুগে যুগে মহাপুরুষরা বলে গিয়েছেন ‘অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো’। তাই অন্তর থেকে বিদ্বেষ, দ্বেষ এগুলো নাশ করে আপনি অপরের উপকার করছেন না,কাউকে কৃতার্থ করছেন না, বরং নিজেরই উপকার করছেন, এতে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন, মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments