সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- বাহ্যিক আচার-আচরণের চাইতে মানসিক নিয়ম-নিষ্ঠাকে বেশি গুরুত্ব দিতেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তার একাধিক বাণীতে সেই বক্তব্য ফুটে উঠেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তার ভাইঝি লক্ষী দেবীকে কঠোর নিয়ম নিষ্ঠা মেনে চলতে নিষেধ করেছিলেন। লক্ষী দেবী বাল্য বিধবা ছিলেন,তাই আমিষ নয়, তিনি নিরামিষ খাওয়ার খেতেন। বিধবার নিয়ম অনুযায়ী একাদশী পালন করতেন ও সাদা থান কাপড় পরতেন।
বিধবাদের যাবতীয় নিয়ম নীতি তিনি নিষ্ঠাভরে পালন করতেন। একদিনের ঘটনা , ঠাকুর মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিলেন, তখন লক্ষী দেবী ঠাকুরের সামনে বসেছিলেন। ঠাকুর একটু ভাত অবশিষ্ট রেখে বললেন,“খেয়ে ফেল, প্রসাদ।” লক্ষী দেবী খেতে ইতস্তত করতে থাকলে ঠাকুর বলেন, “আমি বলছি খেয়ে ফেল। নইলে আবার জন্ম হবে। মোষের মতো কাল ষণ্ডা বরের হাতে পরবি । গর্ভ ( বাচ্চা) হবে। সেই ছেলেকে বার করতে পেট কাটা হবে।”
লক্ষী দেবী এইসব কথা শুনে তাড়াতাড়ি মাছের ঝোল টুকু খেয়ে নিয়ে বলেন, “এবার তবে জন্ম হতে নিষ্কৃতি পেলুম তো?” ঠাকুর বলেন, হ্যাঁ। লক্ষীদেবীর একাদশী করা প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেছিলেন, “ওরে আমি শাস্ত্রের পার। সব খাবিরে আর এই থান ধুতি পরবি না। এ জেনো রাক্ষুসে বেশ।”