সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- জীবনের একটাই লক্ষ বড়ো হয়ে দশ জনের মধ্যে একজন হওয়া। সেই লক্ষ নিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পাত্রসায়ের থানার বিরসিংহ গ্রামপঞ্চায়েতের কাকাটিয়া গ্রামের ২৫ জন মেয়ে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও তাদের আগ্রহ, মনের প্রবল ইচ্ছাই নজর কেরেছে উদয় চাঁদ ব্যানার্জির। একটা সময় তিনি বেসরকারি কলেজে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন। অবসরের পরও তার নেশা রয়েছে খেলাতেই। তিনি নিজেই কাকাটিয়া গ্রামের এই ২৫ জন মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন । লং জাম্প, ডিসকাস, জেবলিং, শর্ট পুট, রান, রিলে রেস, ত্রিপল জাম্প প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। তবে গদির অভাবে হাই জাম্প প্র্যাকটিস করা সম্ভব হয় না। জঙ্গলে পাতা কুড়িয়ে তারা জীবন অতিবাহিত করছে। এর পাশাপাশি নিজেদের পড়াশোনার খরচ যতটা সম্ভব নিজেরাই জোগাড় করছে। সংসারের অভাব অনটন এর মধ্য দিয়েও নিজেদের লড়াইকে আজও তারা চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ্য একটাই সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো। চার বছর ধরে মিনু লোহার, রিনা লোহার, শ্রাবনীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন উদয় চাঁদ ব্যানার্জি বাবু। তার প্রশিক্ষণের হাত ধরেই জেলা স্তরে খেলেছে মিনু লোহার, পাপিয়া লোহার, টগর লোহাররা। তবে এ বছর সমস্ত বাধা অতিক্রম করে মিনু লোহার রাজ্যস্তরে খেলতে গিয়েছিলেন। উদয় চাঁদ বাবু বলেন, আমি অবসর নিয়েছি। আমি আমার সাধ্যমত খেলাধুলার পোশাক এবং অন্যান সরঞ্জাম কিনে দিই। তাই নিয়ে কোনরকমে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে ওদেরকে আরো ভালো জায়গায় দেখতে চাই। মিনু লোহারের বাবা উত্তম লোহার জানানচ, আমি দিন মজুর, লোকের জমিতে কাজ করে আমার নিজের সংসার চালানোই দুস্কর। তার উপর মেয়ের খেলাধুলা ও পড়াশুনার খরচ কি ভাবে সামলাবো তাই বুঝে উঠতে পারছি না। তবে আমার মেয়ে যদি খেলাধুলার সমস্ত সরঞ্জাম দিতে পারি তবে ও আরও বড়ো মাপের খেলোয়াড় হতে পারব।