নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়: একদিকে নকুলদানা বিলি আর একদিকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা। গত কয়েকদিন রাজ্যে এমনই দশা বিজেপির। এবার ফের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১২ জন বিজেপি কর্মি। জানা গেছে, সোমবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার নারানপুরে কয়েকজন বিজেপি কর্মি তাদের দলীয় পতাকা বাঁধতে গিয়েছিল। অভিযোগ সেই সময় অতর্কিতে কিছু দুষ্কৃতি বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনায় আহত হন ১২ জন। এদের মধ্যে সনাতন দিগাড় ও সুকুমার জৈলি নামে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে অন্যজন সনাতন দিগাড় বর্তমানে বিষ্ণপুর মহাকুমা হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে নারায়ণপুর অঞ্চলের উপপ্রধান প্রশান্ত শাল জানান বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার পাশাপাশি অন্ডালের পিওর শীতলপুর ছয় নম্বর এলাকাতেও এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা ঘনশ্যাম রাম জানান, রবিবার রাতে জনা ৩০-৩৫ জনের একটি দুষ্কৃতি দল আচমকায় তাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। গোটা ঘরে আসবাবপত্র, টিভি সহ সমস্ত জিনিস ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না বলে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করে চলে যাওয়ার সময় গুলি ও বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতার। ঘটনাস্থলে থেকে কার্তুজের খোলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি ঘনশ্যাম রামের অভিযোগ, হামলার পেছনে তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাত রয়েছে। হামলার ঘটনা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছেও জানানো হবে বলে জানান তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি তৃণমূলের।