জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, বীরভূমঃ- পঞ্চায়েত ভোটের ফল বের হওয়ার পর পুনরায় তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কিনা বা দলে ফেরার পথ চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো কিনা সেব্যাপারে নিশ্চিত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া না গেলেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যেসব তৃণমূল কর্মী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেনি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি এরকম ত্রিশ জন দলীয় কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করল।
দল থেকে প্রকাশিত তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে খয়রাসোল ব্লকে। সেখানে ১৯ জন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া মুরারই -১ ব্লকে ৭ জন এবং সিউড়ি -১, রামপুরহাট- ২, রাজনগর ও দুবরাজপুর থেকে একজন করে দলীয় কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দল থেকে বারবার বলা হয়েছিল যারা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারছেনা তারা যেন অন্যকোনো দলে যোগ না দেয় বা নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা না দেয়। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রম করার পর দেখা গেল বীরভূমে ত্রিশ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। ওদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন যারা দলের নির্দেশ অমান্য করেছে অবিলম্বে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের দলে ফেরার পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে ২৫ শে জুন বোলপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন হয়। সেখানে জেলা কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের মেন্টর তথা লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিত্ সিনহা (রাণা) দলের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতিদের দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বহিঃষ্কৃত কর্মীদের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
বিকাশ বাবু বলেন – আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের দলের রাজ্য স্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। প্রার্থী তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। দলের পক্ষ থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলা হলেও তারা সেটা করেনি। তাই তাদের বহিষ্কার করা হলো।