নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– পায়ে হেঁটে মাহাকুম্ভের পথে যাত্রা শুরু করেছেন রায়গঞ্জের বছর ২৫এর যুবক রাজকুমার মাহাত। সঙ্গী বলতে একটি ব্যাগ প্যাক, তাতে উঁকি মারছে ভারতের জাতীয় পাতাকা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি। পেশা বলতে ক্যারাটে। নিজে শেখেন ও প্রশিক্ষণও দেন। সেই সামান্য আয়ে সংসার চলে। বাড়িতে রয়েছেন মা বাবা দিদি। তবে ছোট থেকেই তাঁর নেশা ঘুরে বেড়ানো, জলে জঙ্গলে প্রান্তরে, দেশ বিদেশে। তবে বিদেশ যাওয়ার সৌভাগ্য না হলেও ইতিমধ্যেই দেশের ১৭ টি রাজ্য় ভ্রমণ করে ফেলেছে রায়গঞ্জের উকিল পাড়ার বাসিন্দা এই যুবক। দর্শন করেছে দেশের ১২ জ্যোতির্লিঙ্গ, চার ধাম, চার শক্তি পীঠ। পুরোটাই পায়ে হেঁটে, পথ অতিক্রম করেছেন প্রায় ২১ হাজার কিলোমাটার।
এবার তিনি বেরিয়েছেন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে। বাড়ি থেকে বেড়িয়েছেন গত ৩ জানুয়ারি। রায়গঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করে মুর্শিদাবাদ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে কলকাতার কালীঘাট দর্শন করে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শুক্রবার পৌঁছে যান দুর্গাপুর। ইতিমধ্যে এই পথে ৮০০ কিমি হেঁটে ফেলেছেন রাজকুমার। আপাতত প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১১-১২টা অব্দি গড়ে৫০-৬০ কিমি পথ হাঁটছেন অদম্য এই যুবক। সারা দিনে বিশ্রাম বলতে স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া করে একটু জিরিয়ে নেওয়া। এভাবে হেঁটে কুম্ভে পৌঁছাতে তাঁর আরও এক সপ্তাহ লেগে যাবে বলেই অনুমান যুবকের।
কেন এই ঘুরে বেড়ানো? রাজকুমার জানান ঘুরতে তিনি ভালোবাসেন। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে তাঁর নামের একটি চ্যানেলও আছে। সেখানে তিনি তীর্থ ভ্রমণের ভিডিও আপলোড করেন। রাজকুমারের মতে বহু মানুষ যাঁরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে তীর্থ ভ্রমণ করতে পারেন না তাঁরা তাঁর ভিডিও মাধ্যমে তীর্থ দর্শন করেন। এতে তিনি নিজেও শান্তি পান। ভবিষ্যতে শুধু দেশ নয় দেশের বাইরেও ঘোরার ইচ্ছে যেমন আছে তেমনি আরও একটি সুপ্ত ইচ্ছে রয়ছে যুবক রাজকুমারের। অলিম্পিকে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সোনা জেতা।