সঙ্গীতা চ্যাটার্জী, তারকেশ্বরঃ- বাবা-মায়ের পরে একজন শিশু সবথেকে বেশি শিক্ষা লাভ করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেই কারণে ছোট থেকে বেড়ে ওঠার সময়ে পারিবারিক পরিবেশের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশও একজন শিশুর জীবনে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সেই কারণেই ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতামূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নিলো হুগলীর তারকেশ্বরের কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উমাশশী কেশবচক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায়ই এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করানো হয়। তবে এইবার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী দীপান্বিতা ধাড়ার জন্মদিন উপলক্ষে একটি বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় স্কুলে। এই আয়োজন করেছিলেন দীপান্বিতার বাবা সোমনাথ ধাড়া। দীপান্বিতার জন্মদিন উপলক্ষে ২৪শে জুলাই বুধবার দীপান্বিতার বাবা বিদ্যালয়ে নিয়ে এসেছিলেন প্রায় কয়েকশ আমগাছের চারা। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের মধ্যে পরিবেশপ্রেমী মনোভাব গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি,তার এই চিন্তাধারাকে সাদরে গ্রহণ করেন উমাশশী কেশবচক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতার ভাবনা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে গাছের ভূমিকা কী সেই বার্তা দিতেই এই বৃক্ষ বিতরণের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মিড ডে মিলের রাঁধুনিবৃন্দদেরকেও এইদিন বৃক্ষ বিতরণ করা হয়। এই বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাননীয় মানস পোড়েল মহাশয় বলেন যে,“বর্তমানে এই বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে দাঁড়িয়ে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সদর্থক এবং প্রাসঙ্গিক বলেই আমরা মনে করি। আমরা সবাই যদি এইভাবে সোমনাথ বাবুর মত করে ভাবতে পারতাম তাহলে আমাদের বিশ্ব উষ্ণায়ন সহজেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যেত।”
এইদিন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বৃক্ষ বিতরণ করা হয়ে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় এবং সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বৃন্দাবন পাত্র মহাশয় সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আম গাছের চারাগুলিকে কীভাবে পরিচর্যা করবে সেই বিষয়ক উপদেশ প্রদান করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , প্রধান শিক্ষক মহাশয় ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মহাশয় ছাড়াও উমাশশী কেশবচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এই কর্মসূচিতে অত্যন্ত আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করে ছিলেন।