সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ- স্কুল ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভাতার থানার পুলিস। ধৃতদের নাম শেখ রাজিবুল ও শেখ ইমরান ওরফে ইরবান। ভাতার থানার মুরাতিপুরে তাদের বাড়ি। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনার পুনির্নর্মাণ এবং বাইক ও পরনের পোশাক উদ্ধারের জন্য ধৃতদের ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার মধুমিলন ভাণ্ডারী। ধৃতদের আইনজীবী অরুণাভ চৌধুরি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলে জামিন চান। সরকারি আইনজীবী তাপস সামন্ত তদন্তের প্রয়োজনে পুলিসি হেফাজত জরুরি বলে সওয়াল করেন। সওয়াল শুনে ধৃতদের ২ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন পকসো আদালতের বিচারক সৈয়দ নিয়াজউদ্দিন আজাদ।
পুলিস জানিয়েছে, ভাতার থানার কালুত্তক গ্রামে বছর সতেরোর ওই ছাত্রীর বাড়ি। সোমবার দুপুর ১২টার সময় সে বামশোর হাইস্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথে ক্যানেলের কাছে রাজিবুল ও তার বন্ধু বাইকে চেপে এসে ছাত্রীর পথ আটকায়। জোর করে তাকে বাইকে তুলে নেয় তারা। এরপর মুখে রুমাল চাপা দিয়ে তাকে ভাতারের দিকে নিয়ে চলে আসে। ক্যানেলের পাড়ে নিয়ে গিয়ে রাজিবুল তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ছাত্রী প্রাণপণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তিতে তার গলার সোনার চেন খোয়া যায়। ছাত্রী সংজ্ঞা হারায়। রাজিবুল ও ইমরান তাদের বন্ধুদের দিয়ে ছাত্রীকে ভাতার হাসপাতালে ভরতি করে। ঘটনার কথা জানিয়ে ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও পকসো অ্যাক্টের ৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। রাজিবুলের মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিের্দশ দিয়েছেন বিচারক।