সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ –
পৃথক পৃথক ঘটনায় বর্ধমান ষ্টেশনের জিআরপি দুটি অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিন সকাল প্রায় ৮টা নাগাদ বর্ধমানের শক্তিগড় ষ্টেশনে বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলা ডাউন লাইনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। রেল পুলিশ এখনও তাঁর পরিচয় জানতে পারেননি। মৃতের পরণে দুটি নাইটি ছিল বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, এদিন সকালে বর্ধমান ষ্টেশনের ৫নং প্লাটফর্মে আসা একটি ট্রেনের মধ্যে থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে জিআরপি। প্রাথমিকভাবে অনুমান চিকিত্সার প্রয়োজনেই ওই ব্যক্তি আসানসোল থেকে বর্ধমানে আসছিলেন। ট্রেনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন দুটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে
প্রতিবেশীর মৃত্যুতে সত্কার্য সেরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম ভরত শী (৩৪)। বাড়ি খণ্ডঘোষের কেলেটি গ্রামে। পেশায় তিনি ক্ষেতমজুর ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেশীর মৃত্যুতে তিনি শ্মশানে যান। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পাওয়ার পর শুক্রবার রাতে স্থানীয় রথতলা খাল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আবার খালে মাছ ধরতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতের নাম বুদি হেমব্রম (২০)। বাড়ি গলসী থানার শিমুলিয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে গ্রামের সেচখালে মাছ ধরতে নেমে তলিয়ে যায় সে। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় ওই খাল থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এবার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরীর ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মোবিল ব্যবসায়ীর। মৃতের নাম সাইদুল ইসলাম মোল্লা (২৫)। বাড়ি বর্ধমান শহরের মীরছোবা দক্ষিণ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত্রে কাজ সেরে তিনি হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে একটি লরীর তাঁকে ধাক্কা মারলে গুরুতর জখম হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘাতক লরীটিকে আটক করলেও চালক পলাতক।