নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সপ্তম তথা শেষ দফা ভোটের আগেই বাঁকুড়া থেকে গ্রেফতার দুই বিজেপি নেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা উমেশ দাস ও জয়দেব দত্ত নামে দুই বিজেপি নেতাকে প্রতারনার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গেছে, উমেশ দাস বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির আহ্বায়ক এবং জয়দেব দত্ত সহ-আহ্বায়ক। তবে ঠিক কি প্রতারনার দায়ে ওই দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাঁকুড়া থানার পুলিশের প্রতারনার দায়ে দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতেই ভুয়ো মামলায় দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিজেপির এই দাবী মানতে নারাজ মহেশতলা পৌরসভার কাউন্সিলর সুকান্ত বেরা। তাঁর বক্তব্য, ধৃত বিজেপি নেতাদের তারা কোনও দলের নেতা বা প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করেন না, তাই এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও হাত নেই। একদিকে যখন বিজেপির দুই নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় সরগরম বাঁকুড়া তখন বারাসত সরকারি কলেজের মাঠে দেখা গেল সপ্তম দফা ভোটের ব্যস্ততা। ইভিএম, ভিভিপ্যাট সহ ভোটের যাবতীয় সরঞ্জাম বিতরনের কাজ। প্রিসাইডিং অফিসার ও ফাস্ট পোলিং অফিসারদের মোবাইল রেজিস্ট্রেশন ও উপস্থিতি যাচাইয়ের পরই তাদের হাতে ভোটের যাবতীয় জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। মোট ১৫ টি কাউন্টার থেকে বারাসত বিধানসভার ভোটের যাবতীয় জিনিসপত্র তুলে দেওয়ার কাজ চলছে। ১৪টি কাউন্টার থেকে ২০টি পোলিং স্টেশন ও বাকি ১টি কাউন্টার থেকে ১২ টি পোলিং স্টেশনের জন্য ইভিএম, ভিভিপ্যাট সহ ভোটের যাবতীয় জিনিস বিতরনের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ভোটে কাগজ দেওয়া নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দঃ ২৪ পরগনা সুন্দরবন কোষ্টাল থানার হেঁতাল খালী গ্রামে। ঘটনায় গুরুতর আহত এক, আহতের নাম ভোলানাথ সরকার (৩৪)। জানা গেছে, এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটের কাগজ দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ আচমকায় স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মী তাদের বাধা দেয়। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ বচসা চলাকালীন বিজেপি কর্মীরা লাঠি ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের ওপর। এলোপাথাড়ি বেধড়ক মারধরের জেরে আহত হন তাঁর দুই সহকর্মী। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলানাথকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে সুন্দরবন কোষ্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।