নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ভোট প্রচারের মাঝেই মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশ করলেন বাঁকুড়া জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের দুই SUCI প্রার্থী। মঙ্গলবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে তন্ময় মণ্ডল ও বিষ্ণুপুর (তফঃ) লোকসভা কেন্দ্রে অজিত বাউরী মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই জেলাশাসকের দপ্তরে গিয়ে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। জানা গেছে, আগামী ১২ই মে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর (তফঃ) লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ১৬ই এপ্রিল থেকে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধের মনোনয়ন পেশ করার সময় ১৬ই এপ্রিল থেকে ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত। যদিও অপেক্ষা না করেই মনোনয়ন জমার প্রথম দিনেই SUCI এর দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন। একদিকে কমিউনিস্ট দলের দুই প্রার্থী যখন জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তখন গ্রীষ্মের দাবদাহকে সঙ্গে নিয়েই বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের পুখুরিয়া ও পার্শ্বলাতে নির্বাচনী ভোট প্রচারে হাঁটেন সিপিএম প্রার্থী অমীয় পাত্র। এরপর পার্শ্বলা স্কুলের সামনে একটি পথসভাও করেন তিনি। এদিন নাম না করে বাঁকুড়ার তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের কটাক্ষ করেন তিনি। সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্রর বক্তব্য, আসন্ন লোকসভা ভোটে নারদা বাবু জিতে গেলে বাঁকুড়ার জনগনের হার হবে। তাই জনগনকে জিততে হলে তৃনমূলকে ভোট দেওয়া চলবে না তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, বাঁকুড়া যে দুজন বিজেপি প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন তারা বাবু মানুষ, ঠান্ডা ঘরে থাকা মানুষ। একজন নার্সিংহোমোর ঠান্ডা ঘরে থাকেন, আর একজন থাকেন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর ঠান্ডা ঘরে। এভাবেই নাম না করে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেন তিনি। সম্প্রতি সারেঙ্গা ও ইন্দপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানীয় জল ও রাস্তার দাবিতে গ্রামবাসীদের ভোট বয়কট প্রসঙ্গেও এদিন নিজের মতামত ব্যক্ত করেন বাম প্রার্থী অমীয় পাত্র। তিনি জানান, বাঁকুড়া জেলায় জলের সমস্যা সমাধান কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই একেবারে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রয়োজনীয় পুকুর বা কুয়ো খনন করলে তা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাজে লাগতে পারে। যদিও এবিষয়ে শাসকদল তথা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও উদ্যোগ নেই বলে ব্যক্ত করেছেন তিনি। অন্যদিকে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও বিধাননগর পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তের মধ্যে আদায়-কাচকলায় সম্পর্ক আরও একবার প্রকাশ্যে এলো। মঙ্গলবার বারাসত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস তথা প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হয়ে প্রচার সভায় যোগ দেওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছে। প্রার্থী প্রচারের জন্য আমন্ত্রণ জানালে তবেই সেবিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন বলে সাফ জানান তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের এহেন জবাবের মধ্যে দিয়েই ফের পরিষ্কার হয়ে গেল সব্যসাচী দত্ত ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মধ্যে পুরনো সংঘাত। পাশাপাশি সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্তের বক্তব্য, দেশ থেকে বামেদের অস্তিত্ব প্রায় নিঃশেষের মুখ। তাই অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম। ভোট যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক প্রচারেও গতি বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। তেমনি মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ অশোক কান্ডারীও ভোট প্রচারে সামিল হলেন হুড খোলা গাড়িতে চড়ে। এদিন হিরন্ময়পুর থেকে ঝড়খালী পর্যন্ত ভোট প্রচার সারনে তিনি। সঙ্গে ঢাক ঢোল নিয়ে প্রচারে অভিনবত্ব আনারও চেষ্টা চালানো হয়।