eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্রচারের ময়দানে শাসক ও বিরোধী দলগুলির হুঙ্কার, অপেক্ষা ভোট যুদ্ধের

প্রচারের ময়দানে শাসক ও বিরোধী দলগুলির হুঙ্কার, অপেক্ষা ভোট যুদ্ধের

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুনমুন সেনও। বুধবার দিনভর পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা ও রোড শো র মাধ্যমে প্রচার সারলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের এই তারকা প্রার্থী। এদিন তিনি প্রথম জনসভা করেন হরিপুরের এফপি স্কুল মাঠে। সেখানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ অন্যরা। সভার শুরুতেই বিজেপি নেতা ভিকি চৌরাসিয়ার সাথে প্রায় তিনশ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। হরিপুরের পর নবগ্রাম ফুটবল মাঠে হয় দ্বিতীয় জনসভা। ক্ষমতায় এলে রাজ্যে এনআরসি করবে বিজেপি? তবে তার আগে লোকসভা নির্বাচনে এনআরসি করে বিজেপিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার ডাক দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। নৈহাটি মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিয়াগড় এলাকায় এক পথসভায় এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, বাংলার মাটিতে এর আগেো মানুষ সন্ত্রাস দেখেছে, ধৈর্য ধরুন, গত ৮ই এপ্রিল পৌরসভা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, গত ১২ই এপ্রিল বিধায়ক পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে, এবার ২৩শে মে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আছে বলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পতাকা হাতে প্রচারে নামতে পারছে, মুখ্যমন্ত্রী কে গালাগাল করতে পারছে, না হলে এদেরকে শুধু নিজের বাড়ি নয়, সারা রাজ্যে খুঁজে পাওয়া যেত না। পথসভায় সুব্রত বক্সীদের উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, নৈহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। একদিকে যখন লোকসভা ভোটের প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন তখন বড়সড় ভাঙন দেখা দিল বাঁকুড়া জেলা বিজেপিতে। জানা গেছে গঙ্গাজলঘাটি থানার নিত্যানন্দপুর অঞ্চলের ১৫০ জন বিজেপি কর্মি সমর্থক অঞ্চল সভাপতি দেবদাস বাজপেয়ির হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন। নিত্যানন্দপুর অঞ্চল সভাপতি দেবদাস বাজপেয়ি জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণীত হয়েই তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে যোগদান করেছেন। স্বভাবতই ভোটের আগে এক সঙ্গে এতজন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ভোটের মুখে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বিজেপি। যদিও এই দলবদলের তত্ত্ব মানতে নারার
বিজেপি নেতা সুজিত অগাস্তি। তার কথায়, যারা যোগদান করেছেন তারা কেউই বিজেপির কর্মী নন, তারা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে পারেন। অন্যদিকে বুধবার কৃষ্ণনগরে বাইক র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করলেন দিলীপ ঘোষ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments