সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- একজন মানুষ যত বড় আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্নই হোন না কেন তাকে দুঃখ, জ্বালা, যন্ত্রণা সবসময় ভোগ করতে হয় আর এই দুঃখের বোধ থেকেই আসে হতাশা অর্থাৎ ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশন থেকে অনেকে আত্মহত্যা করে কোন মানুষের ডিপ্রেশন যদি প্রাথমিক স্তরে ধরা যায় তাহলে সেই মুহূর্তেই তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া উচিত, কিন্তু ঔষধ প্রাথমিক চিকিৎসার বাইরে ও ডিপ্রেশনের আরও একটি বড় ওষুধ আছে, সেটা হল ধর্মীয় চেতনাবোধ। একবার স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজকে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন,‘ জীবন যখন দুঃখময় তখন কীভাবে এই দুঃখ দূর করবো?’
স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ এর উত্তরে বলেছিলেন, “সবার জীবনেই দুঃখ কষ্ট আছে। আবার আনন্দও রয়েছে। দুঃখের স্মৃতি নিয়ে থাকলে কোনও লাভ হচ্ছে না আপনার। এতে দুঃখ আরও বেড়ে যায়। বরং আনন্দের স্মৃতিকে গুরুত্ব দিলে মন তুলনামূলকভাবে মিল থাকে, খুশি থাকে আর এর, অর্থ মনে আনন্দ। এজন্য দেখুন কী করলে আপনার মন বেশি আনন্দে থাকে। তার উপরে জোর দিন। যখন কাজ থাকে না তখন মনকে ফাঁকা না রেখে গান শুনুন, কারওর সাথে আড্ডা দিন, কোনও সৃজনশীল কাজ করুন। আসল কথা, যা করলে মন আনন্দিত থাকে তেমন কিছু করুন। ধীরে ধীরে এটা আপনার সংস্কার হয়ে উঠবে। আনন্দ জোরালো হবে, দুঃখের সংস্কার দুর্বল হয়ে যাবে।”
এছাড়া মহারাজ আরও বলেছিলেন যে, প্রকৃতপক্ষে আমরা দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু করি তাই ধীরে ধীরে আমাদের অভ্যাস হয়ে ওঠে। মহারাজের কথায়, “মনকে এমনভাবে অভ্যস্ত করে তুলুন যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কিছু ভাল বা সুযোগ চোখে পড়ে, আপনার মন পজিটিভ থাকে।”