এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– ঘূর্ণিঝড় মোকা কবে কোথায় আছড়ে পড়বে, তার গতিপথ সম্বন্ধে এখনও কিছু স্পষ্ট করে জানায়নি মৌসমভবন। তবে মৌসম ভবন জানাচ্ছে, মোকা আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশার উপকূলে। আর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে আগামী সপ্তাহেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা যেখানে আছড়ে পড়ুক, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি হবে।
ঝড়ের গতিপথ এখনও জানা না গেলেও হাওয়া অফিসের মতে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবীদরা। নিম্নচাপ গভীর হয়ে তা উত্তর দিকে এগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপটি। এরপর মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে এই ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হয়ে কোন দিকে এগোয় এখন সেদিকেই নজর রাখছে মৌসম ভবন।
তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব আন্দামান নিকোবরে শুরু করবে আগামী কাল থেকেই। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতরের। পর্যটকদের ও মৎস্যজীবীদে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি সমস্ত রকম ভেসেল চলাচল ও সমুদ্রপাড়ের অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে ভারী থেকে অতি ভারী এমনকি প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দ্বীপপুঞ্জে। সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ৯০ এবং কোথাও কোথাও ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইবে ।
অন্যদিকে সিকিম থেকে ঝাড়খন্ড পর্যন্ত নিন্মচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যার জেরে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর বঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। তবে আগামিকাল থেকে শুষ্ক আবহাওয়াই জারি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে ।