সঙ্গীতা চৌধুরী: – সামনেই আসছে শিবরাত্রি। এই শিবরাত্রির দিনটি হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনার মধ্য দিয়েই এই দিনটি তারা পালন করে থাকেন। শিবরাত্রির দিনে ঠিক কী করলে শনিগ্রহের দোষ কাটবে বা অভাব দূরাবস্থা কাটবে,আয়ু বৃদ্ধি হবে ও পুত্র লাভ হবে তা অনেকেই জানতে চান, আজকের প্রতিবেদনে আমি তাই আপনাদের বলবো। দেবাদিদেব মহাদেবকে ভোলে বাবা বলা হয়, কারন তিনি অল্পতেই প্রসন্ন হন, শিবরাত্রির দিন তাকে প্রসন্ন করবার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন, তবে শিব মহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতায় এমন কতগুলি কথার উল্লেখ আছে, যেগুলি ভক্তি সহকারী শিবরাত্রির দিন পালন করলে অবশ্যই ফল প্রাপ্তি হবে।
১। শিব মহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতার একটি জায়গায় বলা হয়েছে যে, যিনি, বিল্ব মূলের কাছে শিব অনুরাগী কোনো ভক্তকে ভক্তি সহকারে আহার করান তিনি কোটি গুণ পুণ্যফল লাভ করেন, যিনি বিল্পমূলের কাছে কোনো শিব ভক্তকে পায়েস এবং ঘৃতযুক্ত অন্ন পরিবেশন করেন তিনি কখনো দরিদ্র হন না। -অর্থাৎ এইদিন আপনি যদি শিব ভক্তকে আহার করাতে পারেন তাহলে আপনার অভাব বা দৈন্য ঘুচে যাবে।
২। শিব মহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতায় বলা হয়েছে যে, তিল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে শনি গ্রহের দোষ কেটে যায়। তাই সকল ভক্তরা শিবরাত্রির দিন অবশ্যই নিজ হাতে তিল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করাবেন।
৩। বিদ্যেশ্বর সংহিতায় আরো বলা হয়েছে যে, আয়ু আকাঙ্ক্ষাকারী ব্যক্তি দুর্বাসহকারে শিবের পুজো করলে তিনি দীর্ঘ আয়ু লাভ করেন।
৪। যিনি পুত্র কামনা করেন তিনি ১ লাখ ধুতরা ফুল দিয়ে পূজা করবেন লাল ডাঁটিওয়ালা ধুতরা পুজোর পক্ষে শুভ দায়ক।
৫। তুলসীদলে পুজা করলে উপাসক ভোগ ও মোক্ষ উভয়ই প্রাপ্ত হন। তাই যারা আত্মিক ও আধ্যাত্বিক জীবনে উন্নতি করতে চান,যারা ইহ লৌকিক ও পরলৌকিক জীবনের উন্নতি সাধন চান অবশ্যই শিবরাত্রির দিন দেবাদিদেব মহাদেবকে তুলসীদলে নিবেদন করুন।