সংগীতা চৌধুরীঃ- আমরা যখন দুঃখ এবং বিপদের মধ্যে দিয়ে যাই, তখন আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, কিন্তু অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় যে, আমরা বিপদের সময় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলেও ভগবান তার কোন উত্তর দেন না! সাহায্য করেন না আমাদের! এই সময় আমাদের কী কর্তব্য?
এই প্রসঙ্গে একজন ভক্ত স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, “ বিপদের সময় প্রার্থনা করলে অধিকাংশ সময় কোনো উত্তর পাই না, ঈশ্বর সাহায্য করেন না আমাকে। মা হিসেবে তাঁর কি কর্তব্য নয় সন্তানকে সাহায্য করা?”
এই প্রশ্নের উত্তরে স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ সেই ভক্তকে পরিষ্কার বলেন যে, “ কিছুদিন আগে ফেসবুকে মা দুর্গাকে ব্যঙ্গ করে একটা লেখা বেরিয়েছিল। আপনি কি তার প্রতিবাদ করেছিলেন, কমেন্টে বা অন্য কোনোভাবে? মা’র অপমান আপনি সহ্য করেছিলেন সন্তান হয়ে আর এখন বলছেন মা তাঁর কর্তব্য করেননি সন্তানের প্রতি!
আপনি ধর্মকে রক্ষা করুন, ধর্মও আপনাকে রক্ষা করবে, এটাই শাস্ত্র বলে। বনবাসে যাবার আগে রাম এসেছিলেন মা কৌশল্যার আশীর্বাদ নিতে। মা কিন্তু আশীর্বাদ করেননি। বলেছিলেন, তুমি যদি ধর্মকে রক্ষা করো তবে ধর্মও তোমাকে রক্ষা করবে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে প্রতিদিন সকালে যুদ্ধে যাবার আগে দুর্যোধন আসতো মা গান্ধারীর আশীর্বাদ নিতে। মা কিন্তু কখনও আশীর্বাদ করেননি, প্রতিদিনই বলতেনঃ ধর্মের জয় হবে। তাহলে দেখুন, রামায়ণ মহাভারতে মা দুজনেই সন্তানকে আশীর্বাদ না করে স্পষ্ট বলে দেন যে ধর্মকে রক্ষা করলেই নিজে রক্ষা পাবে। এটাই হিন্দুধর্মের কথা। ঈশ্বরকে সমালোচনা করার আগে শাস্ত্র ও ধর্মকে জানুন।”