সঙ্গীতা চ্যাটার্জী (চৌধুরী),বহরমপুরঃ- নারী যখন স্ত্রী হয় তখন তার মধ্যে অনন্ত শক্তি অনন্ত সম্ভাবনা এবং অনন্ত সৌভাগ্যের জন্ম হয়। সে নিজেই হয়ে ওঠে শক্তিপ্রতিভূ, সৌভাগ্যের প্রতি মূর্তি তাই তাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত। সনাতন শাস্ত্রে নারীদেরকে সবসময় যোগ্য সম্মান দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। আমাদের প্রাচীন শাস্ত্র বেদে সেই কথাই লেখা আছে। হ্যাঁ এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এটি জানেন না। চলুন আজ জেনে নেই বেদে কীভাবে নারী জাতিকে সম্মানিত করা হয়েছে-
১. হে বধূ– যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে সম্রাজ্ঞী হয়ে থাকো। (অথর্ববেদ ১৪/১/৪৩)
২। হে বধূ– কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্ধনকারিণী, পতিসেবাপরায়ণা, শ্বশুরের শান্তিদায়িনী, শ্বাশুড়ির আনন্দদায়িনী। গৃহকর্মে নিপুণা হও। (অথর্ববেদ ১৪/২/২৬)
৩। হে বধূ– শ্বশুরের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি, সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও। ইহাদের পুষ্টির জন্যে মঙ্গলদায়িনী হও। (অথর্ববেদ ১৪/২/২৭)
৪। হে বধূ– শ্বশুরদের মধ্যে, দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শ্বাশুড়ির সাথে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হয়ে থাকো।(অথর্ববেদ ১৪/১/৪৪)
৫। হে বধূ– পুরুষ, গো, অশ্বজাতির প্রতি কল্যাণকারী হও। সকলের জন্যে কল্যাণকারী হও। (অথর্ববেদ ৩/২৮/৩)
৬। মনের প্রসন্নতা, সন্তান, সৌভাগ্য ও ধনের কামনা করিয়া স্ত্রী সর্বদাই পতির অনুকূল আচরণ করিবে। (অথর্ববেদ ১৪/১/৪২)
৭। বেদের মন্ত্রে বার বার করে নারীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, কারণ নারী কল্যাণময়ী। কেবল নারীই পারে তাঁর সংসারকে স্বর্গে পরিণত করতে।
৮। আরো একটি মন্ত্রে নারীকে কল্যাণময়ী বলে অন্যদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে- এই বধূ মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দুর্ভাগ্য বিদূরিত করো।