বিশেষ প্রতিনিধি, বর্ধমানঃ- একই গৃহবধূকে বিভিন্ন জন বারে বারে , যেখানে সেখানে ধর্ষণ করছে। শুধু তাই নয় , কেউ কেউ নাকি ধর্ষণের ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ফের তাকে ধর্ষণ করছে। এমনই অভিযোগ বর্ধমানের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন জনের নামে দায়ের করেছেন ২২ বছরের ওই গৃহবধূ। বিষয়টি দীর্ঘদিন অজানাই ছিল পুলিশেরও। ঘটনাচক্রে একই আদালতে একই দিনে দুটি ধর্ষণের ঘটনার শুনানি চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজের সন্দেহ ঠেকে, ধর্ষণের অভিযোগে সাক্ষী হয়ে একই মহিলা কেন বার বার উঠছেন।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার এলাকার গরুই গ্রামের ওই গৃহবধূ মোট ৪ জনের নামে খণ্ডঘোষ , বর্ধমান, গলসি থানায় তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত নার্সিংহোমের মালিক বিপ্লব চৌধুরীকে কাঠগড়ায় তুলে বিচার চলছিল। বিপ্লবকে ১২ ই ডিসেম্বর বর্ধমানের রেনেসাঁস টাউনশিপের থেকে ওই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় । মহিলা বিপ্লবের নার্সিংহোমে কাজ করতেন। তার অভিযোগ এক বছর আগে বাড়িতে ডেকে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে বিপ্লব। ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখেন। তারপর যখন তখন ঘর ফাঁকা পেলেই তাকে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করতেন। না এলেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিতেন ।
পুলিশ বিপ্লবকে ধর্ষণের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ সি, ৬৬ ই ও ৭৪ নম্বর ধারায় গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত বিপ্লব জানান তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। মহিলার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
বিপ্লবের মামলার শুনানির পরই মঙ্গলবার খণ্ডঘোষের গইরু গ্রামেরই যুবক মনিরুল মন্ডলকে আদালতে পেশ করে পুলিশ । ওই একই গৃহবধূ তার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এ সময়ই জেলা জজ অজেয়া মতিলাল মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করার আদেশ দিয়ে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবছর ফেব্রুয়ারীতে সে নাকি মহিলাটিকে ধর্ষণ করে। আবার খণ্ডঘোষেরই শুকরিয়া গ্রামের তিন যুবক ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত আটটা নাগাদ রাস্তা থেকে জোর করে তুলে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে আলাদা একটি মামলায় ঝুলে রয়েছে।