নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর:- কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনে বিষাদের সুর সিটি সেন্টার এলাকাজুড়ে। রবিবার সকালে সিটি সেন্টারের একটি অভিজাত শপিং মল এর পাশের চায়ের দোকান থেকে অজয় দাস নামক এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে সিটিসেনটার থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহটি দেখে খবর দেন সিটি সেন্টার পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে সিটি সেন্টার পুলিশ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত যুবকের নাম অজয় দাস বলে জানা গেছে। তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী জে সি বোস রোডের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে শনিবার দিন অজয় খুব তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে তার জে সি বোস রোডের বাড়িতে চলে আসে। এরপর তার পরিবারের পাশে থাকা একটি অন্য পরিবারের সাথে তাদের ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। মূলত এক মহিলাকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলা বলে জানা গেছে। ঝগড়াঝাটি মোটামুটি মিটে যাওয়ার পর রাত এগারোটা নাগাদ অজয় সিটি সেন্টারে তার দোকানে যাবে বলে বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে বেরিয়ে যান। মৃত অজয় দাসের বাবা অলোক দাস জানান রবিবার ভোর থেকে অজয়কে বহুবার ফোন করা সত্ত্বেও তাঁর ফোন রিং হয়ে, রিসিভ হয়নি। এরপরে অজয়ের বাবা স্থানীয় এক দুজনকে নিয়ে চলে আসেন সিটি সেন্টারে তার চায়ের দোকানে। এখানেই তিনি দেখতে পান তার ছেলেকে মৃত অবস্থায়। মৃত অজয় দাসের বাবা অলোক দাস জানান তার ছেলেকে যখন দোকানের মধ্যে মৃত অবস্থায় তিনি দেখেন তখন তার ছেলের গলায় জড়ানো অবস্থায় ছিল একটি তার। তিনি অভিযোগ করেন ছেলের গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে দুর্গাপুর থানার সিটি সেন্টার পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ দুই জন স্থানীয় কে আটক করেছেন। এই বিষয়ে জে সি বোস রোড এর বাসিন্দারা এই খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত তারা তাদের এলাকার মিশুকে ছেলে অজয় দাসের মৃত্যুর তদন্ত চান এবং ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই তারা এই বিষয়ে অজয়ের আসল মৃত্যুর কারণ কি বা কেনই বা তার মৃত্যু হল সে বিষয়ে বলতে পারবেন। পুলিশ তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।