নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুজো সবে মাত্র শেষ হয়েছে। যদিও শেষ হয়নি বাঙালির দুর্গোৎসব। সামনেই দীপাবলি ও কালীপুজো। উৎসবের এই মরশুমে সমাজের প্রাদপ্রদীপের অন্ধকারে থেকে যাওয়া মানুষগুলোর সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে এগিয়ে এল দুর্গাপুরের একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান উত্তরণ। রবিবার দুপুরে দুর্গাপুরের ৫৪ ফুটে অবস্থিত সরকারি বৃদ্ধাশ্রম ‘অন্তিম এতে’র আবাসিকদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছিল সংস্থাটি। স্বাভাবিকভাবেই বহুদিন পরিবার থেকে দূরে থাকা আবাসিক বৃদ্ধ বৃদ্ধারা ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে আপ্লুত। অন্যদিকে সকলের সঙ্গে একটু আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে তারা নিজেদের ধন্য বলে মনে করছেন বলে জানালেন উত্তরণের এক সদস্য ইন্দ্রপ্রতিম ভট্টাচার্য। মানুষের সহযোগিতায় আগামী দিনে এই ধরণের আরও সমাজসেবা মূলক কাজে তারা যুক্ত থাকতে চান বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত উত্তরণ দুর্গাপুরে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পড়াশোনার সরঞ্জাম, দুস্থদের চিকিৎসা ও নতুন কাপড় বিতরণ সহ সামাজিক নানা কাজকর্মে জড়িত থাকে।
এদিকে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁরা খুব একটা ভালো নেই। সরকারি এই বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঘাটালের একটি এনজিও। অভিযোগ নিয়মিত সরকারি অনুদান না মেলায় বৃদ্ধাশ্রমটি চালানো পরিচালন সংস্থাটির পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ি ভাড়া না মেটানোয় মাঝে মধ্যেই বৃদ্ধাশ্রমের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। বর্তমানে জলের পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি মালিক জানিয়েছেন কালীপুজোর মধ্যে বাড়ি ভাড়া না মেটালে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিছিন্ন করে দেওয়া হবে। বৃদ্ধাশ্রম পরিচালন সংস্থার সেক্রেটারিও একজন প্রবীণ ব্যক্তি, তাঁর বয়স ৭৬ বছর। ঘাটাল থেকে তার পক্ষেও সমস্ত বিষয় দেখাশুনা ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে রীতমতো বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকগণ।
আবাসিকদের এই অবস্থার কথা শুনে আগামী দিনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরণের সদস্যগণ।