সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- সম্প্রতি এক সপ্তাহ ধরে বনদপ্তরের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে পালিত হয়েছে বনমহোৎসব ও অরণ্য সপ্তাহ। সারা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুর ও আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও ঘটা করে বনমহোৎসব কর্মসূচি পালন করছে বনদপ্তর। চারা গাছ বিতরণের পাশাপাশি লাগানো হয়েছে বহু চারা। গাছ লাগানো নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি গাছ কাটা বন্ধের বার্তা দিয়েও প্রচার চালানো হয়েছে, মনুষকে সজাগ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। অথচ খোদ বনদপ্তরের নাকের ডগা থেকে রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলা হল সেগুন শিরিশের মতো দামী দামী শতাধিক গাছ। কিন্তু অদ্ভুদভাবে সেই খবর পৌঁছল না বনদপ্তরের কোনও আধকারিক, বনকর্মী বা বনরক্ষীর কাছে। আর এই ঘটনায় বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর রেঞ্জের আসানসোলের বারাবনি ব্লকের জামগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরিষাতলি বিট অফিস সংলগ্ন এলাকায়।
অভিযোগ রাতের অন্ধকারে বিট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে বড় বড় সেগুন শিরিশ সহ একাধিক দামী দামী গাছ কেউ বা কারা কেটে ফেলে। গাছের কাটার ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনও যন্ত্রচালিত করাত ব্যবহার করে একের পর এক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই সরিষাতলি বিট অফিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ওই বিট অফিসের পাশেই বনদপ্তরের কর্মী আধিকারিকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ বন কর্মী আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে কীভাবে একসাথে এত মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার প্রকৃতিপ্রেমী থেকে বুদ্ধিজীবী মানুষজন।
ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বনদপ্তর দুপক্ষই। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন ডিএফও বুদ্ধদেব মণ্ডল। যদিও ঘটনার বিষয়ে বিশদে কিছু জানাতে চাননি তিনি। শুধু জানান এফআইআর দায়ের হয়েছে ও তদন্ত শুরু হয়েছে।