রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হচ্ছে ‘ক্লাউড ক্লিনিক হেলথ এটিএম’ ওয়ান স্টপ সলিউশন
এইবাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে তাক লাগাতে চলছে রাজ্য সরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ‘ক্লাউড ক্লিনিক হেলথ এটিএম’ চালু করতে চলছে রাজ্য। যেখানে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পঞ্চান্নখানা শারীরিক পরীক্ষা করা যাবে। তাও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই টেস্ট গুলির মধ্যে সুগার, ব্লাড প্রেসার, ইসিজি, লিপিড প্রোফাইল, এইচবিএওয়ানসি থেকে শুরু করে করোনা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েড, ব্লাড গ্রুপসহ নানাবিধ শারীরিক পরীক্ষা করা যাবে। হিমোগ্লোবিন, বিএমআই, ক্রিয়াটিনিন সহ আরও অজস্র সূচক জানা যাবে। চোখ পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এই বিশেষ এটিএম-এ। তবে আপাতত এই সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র ৫টি বিশেষ রাজ্য সরকারি কার্যালয়ের কর্মরত কর্মচারী ও আধিকারিকেরা। এই ৫টি কার্যালয় হল নবান্ন, স্বাস্থ্যভবন, বিকাশ ভবন, বিদ্যুৎ ভবন ও কলকাতা পুরনিগম। প্রাথমিকভাবে এই ভবনগুলিতেই হেল্থ এটিম বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ও বেঙ্গল ক্যামিকেলের যৌথ উদ্যোগে এই ৫টি সরকারি কার্যালয়ে বসতে চলেছে হেল্থ এটিএম। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড এই হেল্থ এটিএম তৈরি করেছে। যন্ত্রগুলি নিখরচায় পাঠাচ্ছে হ্যাল। সঙ্গে রক্ত পরীক্ষার জন্য জরুরি প্রায় ৭৫ হাজার টাকার অ্যান্টিজেন-ও পাঠাচ্ছে। তারপরের যাবতীয় টেস্টের খরচ বহণ করবে রাজ্য সরকারই।
শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি এই হেল্থ এটিএম-এ মিলবে আরও বেশ কিছু সুযোগসুবিধা। যেমন রোগীর তথ্যাবলী রেকর্ড করে রাখবে ক্লাউড স্টোরেজ। মানে এই মেশিনে যখন কেউ কোনও টেস্ট করবেন তখন তার সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য নথিভুক্ত হয়ে থাকবে ক্লাউড স্টোরেজে। এরপরে পরেরবার যখন ওই ব্যক্তি হেল্থ এটিএমে ওই একই টেস্ট করাবেন তখন আগের টেস্ট ও নতুন টেস্টের ফারাকটাও দেখে নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, সমস্ত টেস্টের রিপোর্ট ই-মেল ও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকছে। যাবতীয় টেস্টের রিপোর্টের পাশাপাশি কী ধরনের ডায়েট নিলে সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকা যাবে তাও জানিয়ে দেবে এই মেশিন। কিউ আর কোড লাগানো ব্যক্তিগত হেলথ কার্ড বেরিয়ে আসবে মেশিন থেকে। এমনকি প্রয়োজনে এই মেশিন মারফত চিকিৎসকের সঙ্গেও ভিডিও বা অডিও কলে কথাও বলা যাবে। সব মিলিয়ে যাকে বলে ওয়ান স্টপ সলিউশন।
এই হাইটেক যন্ত্র বসানোর ফলে প্রাথমিক ভাবে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং কলকাতা পুরনিগমের কর্মী ও আধিকারিকেরা। এই মেশিন দিয়ে যে সব পরীক্ষা করানো যাবে তা বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে করাতে গেলে মোটা অঙ্কের বিল গুণতে হয়। এবার থেকে সেই বিশাল অঙ্কের বিল আর গুণতে হবে না সুবিধাপ্রাপকদের।